ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি বন্ধ করলেই চুক্তিতে রাজি ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক ইস্যুতে সামরিক হুমকি থেকে সরে আসে, তাহলে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান এমনই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আগে স্বীকার করতে হবে যে, কোনও সামরিক বিকল্প গ্রহণযোগ্য নয় এবং আলোচনার ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তির পথও বন্ধ থাকতে হবে।

আগামী শনিবার ওমানে এই আলোচনার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আরাঘচি আরও জানান, প্রক্রিয়াটি হবে পরোক্ষ, তবে আলোচনা হবে ‘উচ্চ-স্তরের’। যদিও এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করে জানিয়েছেন, আলোচনা হবে সরাসরি। এই ঘোষণা নতুন করে কূটনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্প এর আগেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানকে ‘গুরুতর পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে। এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, তারা চুক্তির পথে এগোতে ইচ্ছুক, তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক হুমকি বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

গত মাসে ট্রাম্প একটি বার্তা পাঠান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে, যেখানে তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে এবং সম্ভাব্য মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলা এড়াতে একটি সমঝোতার কথা বলেন।

ইরান অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তই শান্তিপূর্ণ। দেশটি কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এবার যদি আলোচনার টেবিলে বাস্তবধর্মী প্রস্তাব আসে এবং সামরিক হুমকির ছায়া না থাকে, তাহলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটতে পারে। তবে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হুমকি বন্ধ করলেই চুক্তিতে রাজি ইরান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৪১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক ইস্যুতে সামরিক হুমকি থেকে সরে আসে, তাহলে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান এমনই জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আগে স্বীকার করতে হবে যে, কোনও সামরিক বিকল্প গ্রহণযোগ্য নয় এবং আলোচনার ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তির পথও বন্ধ থাকতে হবে।

আগামী শনিবার ওমানে এই আলোচনার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আরাঘচি আরও জানান, প্রক্রিয়াটি হবে পরোক্ষ, তবে আলোচনা হবে ‘উচ্চ-স্তরের’। যদিও এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করে জানিয়েছেন, আলোচনা হবে সরাসরি। এই ঘোষণা নতুন করে কূটনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্প এর আগেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানকে ‘গুরুতর পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে। এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, তারা চুক্তির পথে এগোতে ইচ্ছুক, তবে তার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক হুমকি বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

গত মাসে ট্রাম্প একটি বার্তা পাঠান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে, যেখানে তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে এবং সম্ভাব্য মার্কিন ও ইসরায়েলি হামলা এড়াতে একটি সমঝোতার কথা বলেন।

ইরান অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তই শান্তিপূর্ণ। দেশটি কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এবার যদি আলোচনার টেবিলে বাস্তবধর্মী প্রস্তাব আসে এবং সামরিক হুমকির ছায়া না থাকে, তাহলে দুই দেশের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটতে পারে। তবে সামান্য ভুল বোঝাবুঝিও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।