০২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের, ব্যর্থ হলে ‘মহাবিপদ’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 64

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ পারমাণবিক ইস্যুতে নতুন মোড়। আগামী শনিবার থেকে ওমানে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দুই দেশ। তবে বৈঠকটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বক্তব্যে পার্থক্য স্পষ্ট।

হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র। তার ভাষায়, “আমরা এখন ইরানিদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছি। শনিবার আমাদের একটি বড় বৈঠক রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প জানান, আলোচনা হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের, কেবলমাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী হলেও সতর্ক করে বলেন, “আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরান পড়বে মহাবিপদে। তারা কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না।”

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর ইরান নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, “শনিবার ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।”

আরাগচি লেখেন, “এটা একসাথে সম্ভাবনা এবং পরীক্ষা এই মুহূর্তে বলটি যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে।”

উল্লেখযোগ্য যে, মাত্র একদিন আগেই তেহরান সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে একে ‘অর্থহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। এ অবস্থায় ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার ঘোষণা এবং তেহরানের পরোক্ষ আলোচনার উল্লেখ পরিস্থিতিকে ঘনীভূত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার দ্বার খুললেও, বিশ্বাসের ঘাটতি এখনও বড় বাধা।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০১৮ সালে, তিনি ইরানের সঙ্গে করা ছয় পরমাণু শক্তিধর দেশের ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করেছিলেন। এর পর থেকে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রমে গতি আনে, যা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ বেড়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়া, চীন ও ইরানের মধ্যে পৃথক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ মুহূর্তে কূটনৈতিক সংলাপই একমাত্র উপায়, যা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি উত্তেজনাকর সংঘর্ষ এড়াতে পারে। এখন দেখার বিষয় এই আলোচনার টেবিলে সত্যিকারের সমঝোতা সম্ভব কি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের, ব্যর্থ হলে ‘মহাবিপদ’

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ পারমাণবিক ইস্যুতে নতুন মোড়। আগামী শনিবার থেকে ওমানে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দুই দেশ। তবে বৈঠকটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বক্তব্যে পার্থক্য স্পষ্ট।

হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র। তার ভাষায়, “আমরা এখন ইরানিদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছি। শনিবার আমাদের একটি বড় বৈঠক রয়েছে।”

বিজ্ঞাপন

ট্রাম্প জানান, আলোচনা হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের, কেবলমাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী হলেও সতর্ক করে বলেন, “আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরান পড়বে মহাবিপদে। তারা কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না।”

তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর ইরান নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, “শনিবার ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।”

আরাগচি লেখেন, “এটা একসাথে সম্ভাবনা এবং পরীক্ষা এই মুহূর্তে বলটি যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে।”

উল্লেখযোগ্য যে, মাত্র একদিন আগেই তেহরান সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে একে ‘অর্থহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। এ অবস্থায় ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার ঘোষণা এবং তেহরানের পরোক্ষ আলোচনার উল্লেখ পরিস্থিতিকে ঘনীভূত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার দ্বার খুললেও, বিশ্বাসের ঘাটতি এখনও বড় বাধা।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০১৮ সালে, তিনি ইরানের সঙ্গে করা ছয় পরমাণু শক্তিধর দেশের ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করেছিলেন। এর পর থেকে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রমে গতি আনে, যা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ বেড়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়া, চীন ও ইরানের মধ্যে পৃথক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ মুহূর্তে কূটনৈতিক সংলাপই একমাত্র উপায়, যা মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি উত্তেজনাকর সংঘর্ষ এড়াতে পারে। এখন দেখার বিষয় এই আলোচনার টেবিলে সত্যিকারের সমঝোতা সম্ভব কি না।