সপ্তাহের প্রথম দিনেই এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধস, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক উদ্বেগের ছায়া

- আপডেট সময় ০১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 26
নতুন সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেমে এসেছে অস্থিরতার কালো ছায়া। আজ সোমবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে দেখা গেছে বড় ধরনের দরপতন। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্কনীতি এই অর্থনৈতিক ধসের মূল কারণ।
জাপানের নিক্কি ২২৫ সূচক পতন হয়েছে ৬.৩ শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক হারিয়েছে ৯.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যুক্তরাজ্যের দুই প্রধান ব্যাংক, এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডও বড় ধাক্কা খেয়েছে।
তাইওয়ানে শেয়ারমূল্য কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, সিঙ্গাপুরেও নেমেছে ৮.৫ শতাংশ। বিশ্ববাজারে এই ধসের ছাপ পড়েছে জ্বালানি খাতে। ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম নেমে এসেছে ৬০ ডলারে, ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হচ্ছে ব্যারেলপ্রতি ৬৩ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট ফিউচার সূচকেও বড় ধরনের পতনের আভাস মিলেছে। বাজার খোলার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৯ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের ৬০টি দেশ যাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প ‘অন্যায় আচরণের’ অভিযোগ এনেছেন তাদের ওপর পৃথকভাবে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
ট্রাম্প অবশ্য এই সংকটে নিজেকে দায়ী মানতে নারাজ। রোববার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারের অবস্থা কী হবে, আমি বলতে পারি না। তবে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী দেশ।” তিনি আরও বলেন, “ওষুধ যেমন তিক্ত, তেমনই কিছু নীতিও সময়মতো প্রয়োগ করতে হয়।”
বিশ্বব্যাপী ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও তিনি অনড়। সাবেক বাইডেন প্রশাসনের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের মূর্খ নেতৃত্ব বছরের পর বছর অন্য দেশগুলোকে সুবিধা দিয়েছে। আমি চাই, আমেরিকা আবার মহান হোক।”
শেয়ারবাজারের এমন ধস বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকে এটিকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছেন।