১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

মার্কিন বাজারে বিদেশি পণ্যে গড় শুল্ক ৬%, বিলাসপণ্যে চড়া করের বোঝা, শুল্ক হার সবচেয়ে বেশি মদের ক্ষেত্রে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 60

 

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যে গড়ে শুল্ক–কর হার ৬ শতাংশের মতো হলেও বাস্তবে এই হার আরও কম। কারণ, ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে আদায় হওয়া মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম কর পরে সমন্বয় করে নেন। এসব বাদ দিলে কার্যত গড় শুল্কহার দাঁড়ায় ২ দশমিক ২০ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এসব পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য ছিল প্রায় ৩৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যার বিপরীতে আদায়কৃত শুল্ক কর ছিল ২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলত দুই ধরনের পণ্য আসে একটি রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, যেগুলো বন্ড সুবিধায় করমুক্ত আমদানি হয়; অন্যটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আমদানি, যার একটি অংশও করমুক্ত।

তবে পণ্যের ধরন অনুযায়ী শুল্কহার বিশাল পার্থক্যের মধ্যে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হুইস্কিতে শুল্কহার ৬১১ শতাংশ, মার্সিডিজ বেঞ্জে ৪৪৩ শতাংশ, আর ই–সিগারেটে ২৮৯ শতাংশ। অথচ পুরোনো লোহার টুকরা থেকে শুল্কহার মাত্র ৪ শতাংশ, তবুও এই খাত থেকেই সর্বোচ্চ রাজস্ব এসেছে ৪৫০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আমদানি শুল্ক পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনবিআর ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্কহার পর্যালোচনার বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক–কর কমাতে হলে বিলাসপণ্যকে আলাদা বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এসব পণ্যে শুল্কহার অত্যধিক, অথচ আমদানির পরিমাণ খুব কম।

দূরত্বজনিত খরচ বেশি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারত ও চীন থেকে আমদানি বেশি হয়। তবুও নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মান ও নির্ভরযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশের বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা এখনো রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন বাজারে বিদেশি পণ্যে গড় শুল্ক ৬%, বিলাসপণ্যে চড়া করের বোঝা, শুল্ক হার সবচেয়ে বেশি মদের ক্ষেত্রে

আপডেট সময় ১২:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যে গড়ে শুল্ক–কর হার ৬ শতাংশের মতো হলেও বাস্তবে এই হার আরও কম। কারণ, ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে আদায় হওয়া মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম কর পরে সমন্বয় করে নেন। এসব বাদ দিলে কার্যত গড় শুল্কহার দাঁড়ায় ২ দশমিক ২০ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এসব পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য ছিল প্রায় ৩৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যার বিপরীতে আদায়কৃত শুল্ক কর ছিল ২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলত দুই ধরনের পণ্য আসে একটি রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, যেগুলো বন্ড সুবিধায় করমুক্ত আমদানি হয়; অন্যটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আমদানি, যার একটি অংশও করমুক্ত।

তবে পণ্যের ধরন অনুযায়ী শুল্কহার বিশাল পার্থক্যের মধ্যে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হুইস্কিতে শুল্কহার ৬১১ শতাংশ, মার্সিডিজ বেঞ্জে ৪৪৩ শতাংশ, আর ই–সিগারেটে ২৮৯ শতাংশ। অথচ পুরোনো লোহার টুকরা থেকে শুল্কহার মাত্র ৪ শতাংশ, তবুও এই খাত থেকেই সর্বোচ্চ রাজস্ব এসেছে ৪৫০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আমদানি শুল্ক পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনবিআর ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্কহার পর্যালোচনার বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক–কর কমাতে হলে বিলাসপণ্যকে আলাদা বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এসব পণ্যে শুল্কহার অত্যধিক, অথচ আমদানির পরিমাণ খুব কম।

দূরত্বজনিত খরচ বেশি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারত ও চীন থেকে আমদানি বেশি হয়। তবুও নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মান ও নির্ভরযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশের বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা এখনো রয়েছে।