পঞ্চগড় সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৮ বাংলাদেশিকে বিএসএফ-এর পুশইন

- আপডেট সময় ০৫:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
- / 10
পঞ্চগড়ের তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নারী ও শিশুসমেত ১৮ বাংলাদেশিকে দেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে ছয়জন, চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে সাতজন এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের শুকানী সীমান্তে পাঁচজনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
ঠেলে পাঠানোদের মধ্যে রয়েছেন ছয়জন পুরুষ, চারজন নারী ও আটজন শিশু। বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। প্রাপ্তবয়স্করা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৪ জুন ভারতের গুজরাট থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এরপর বিমান ও বাসে করে সীমান্তে এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
আটকদের পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম ও নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা। তাঁরা জানান, আটককৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের মাধ্যমে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তের ৭৪৬ নম্বর মেইন পিলারের ৩ নম্বর সাব-পিলারের কাছে কমলাপাড়া এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়। তাঁদের ঠেলে দিয়েছে ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঘোড়ারবাড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা।
অপরদিকে সকাল পৌনে আটটায় চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে ৭৫৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন প্রধানপাড়া এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করে জয়ধরভাঙ্গা বিওপি। এদের ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্প থেকে ঠেলে দেওয়া হয়।
একই দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভজনপুর ইউনিয়নের শুকানী সীমান্তের ৭৪১ নম্বর মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পাঁচজনকে ঠেলে দেওয়া হয়। তাঁদের আটক করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভজনপুর বিওপি।
উল্লেখ্য, গত এক মাসে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একাধিক দফায় বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশইন করেছে বিএসএফ। ১৬ মে ১১ জন, ২১ মে ২১ জন, ২ জুন ২৬ জন, ১৩ জুন ৭ জন এবং ১৪ জুন ১৬ জনকে একইভাবে দেশে পাঠানো হয়।