ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এলজিইডিতে দুদকের অভিযান, ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ শিক্ষকদের অনাস্থায় কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনে বড় দুর্ঘটনা, ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ বললেন কিম জং উন বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি দুদক কর্তৃক কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের রায় সংগ্রহের প্রচেষ্টা। সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজের ৬ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর আজ থেকে শুরু ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের অগ্রিম ট্রেন টিকিট বিক্রি ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত একাধিক সাংবাদিক

ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী কালিকাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশব্যাকের মাধ্যমে ছয়টি পরিবারের ২৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় জোসপুর ও খাজুরিয়া বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবাইকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং ১৪ জন শিশু রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুশব্যাককৃত ব্যক্তিরা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে কীভাবে তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আটকদের বর্তমানে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতীয় বিএসএফ পুশব্যাকের মাধ্যমে যেসব বাংলাদেশিকে সীমান্তে প্রবেশ করিয়েছে, তাদের আমরা আটক করেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছি।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায় শিশু ও নারীদের বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। প্রশাসন জানিয়েছে, আটককৃতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের পুশব্যাক ঘটনা নতুন নয়। তবে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক

আপডেট সময় ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী কালিকাপুর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশব্যাকের মাধ্যমে ছয়টি পরিবারের ২৭ জন সদস্যকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই সময় জোসপুর ও খাজুরিয়া বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবাইকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং ১৪ জন শিশু রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পুশব্যাককৃত ব্যক্তিরা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে কীভাবে তারা ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আটকদের বর্তমানে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসেন বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতীয় বিএসএফ পুশব্যাকের মাধ্যমে যেসব বাংলাদেশিকে সীমান্তে প্রবেশ করিয়েছে, তাদের আমরা আটক করেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছি।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায় শিশু ও নারীদের বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে। প্রশাসন জানিয়েছে, আটককৃতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ ধরনের পুশব্যাক ঘটনা নতুন নয়। তবে বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।