ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৫ মে’র মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (আজ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, “২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হলেও শুধু বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল প্রণয়ন করা হয়। অথচ সহায়ক কর্মচারীরা এখনও জনপ্রশাসনের সাধারণ বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন, যা চরম বৈষম্য।”

তিনি অভিযোগ করেন, “একই দপ্তরে বিচারকদের সঙ্গে কাজ করেও সহায়ক কর্মচারীরা যুগপোযোগী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কেউ কেউ ৩৮-৪০ বছর চাকরি করেও পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে যাচ্ছেন।”

রেজোয়ান খন্দকার আরও বলেন, “সচিবালয়ের অফিস সহায়ক উপসচিব হতে পারেন, পুলিশের কনস্টেবল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পারেন কিন্তু অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা আজও পদোন্নতির কোনো বাস্তব সুযোগ পান না।”

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্মারকলিপি, সাক্ষাৎ ও আলোচনার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি তুলে ধরা হলেও আজও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এমনকি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যৌক্তিকতা মেনে নিলেও তাদের সুপারিশে সহায়ক কর্মচারীদের নিয়ে কোনো স্পষ্ট প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, “বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের কার্যক্রম চললেও সেখানে সহায়ক কর্মচারীদের অধিকার রক্ষায় কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেই। ফলে প্রায় ২০ হাজার কর্মচারী হতাশ ও অবহেলিত।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দুই দফা দাবি জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আওতায় সহায়ক কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন। ৫ মে’র মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাবে।”

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকুসহ দেশব্যাপী কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৫ মে’র মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (আজ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, “২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হলেও শুধু বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল প্রণয়ন করা হয়। অথচ সহায়ক কর্মচারীরা এখনও জনপ্রশাসনের সাধারণ বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন, যা চরম বৈষম্য।”

তিনি অভিযোগ করেন, “একই দপ্তরে বিচারকদের সঙ্গে কাজ করেও সহায়ক কর্মচারীরা যুগপোযোগী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কেউ কেউ ৩৮-৪০ বছর চাকরি করেও পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে যাচ্ছেন।”

রেজোয়ান খন্দকার আরও বলেন, “সচিবালয়ের অফিস সহায়ক উপসচিব হতে পারেন, পুলিশের কনস্টেবল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পারেন কিন্তু অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা আজও পদোন্নতির কোনো বাস্তব সুযোগ পান না।”

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্মারকলিপি, সাক্ষাৎ ও আলোচনার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি তুলে ধরা হলেও আজও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এমনকি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যৌক্তিকতা মেনে নিলেও তাদের সুপারিশে সহায়ক কর্মচারীদের নিয়ে কোনো স্পষ্ট প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, “বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের কার্যক্রম চললেও সেখানে সহায়ক কর্মচারীদের অধিকার রক্ষায় কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নেই। ফলে প্রায় ২০ হাজার কর্মচারী হতাশ ও অবহেলিত।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দুই দফা দাবি জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আওতায় সহায়ক কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন। ৫ মে’র মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাবে।”

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকুসহ দেশব্যাপী কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।