ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

ফিলিস্তিন-রোহিঙ্গা সংকট উপেক্ষিত না হোক : প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাপী চলমান ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আর্থনা সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ব যেন ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় এবং বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশাকে উপেক্ষা না করে। এসব সংকট শুধু একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের বিষয় নয়, এটি গোটা মানবজাতির বিবেকের প্রশ্ন।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মানবাধিকারের প্রতি অবহেলা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এই চক্র ভাঙতে হলে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারী ও তরুণদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

“নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে হবে এবং তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দিতে হবে,” বলেন ড. ইউনূস।

তিনি জানান, আর্থনা সম্মেলনের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো উদ্ভাবনী চিন্তা, ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য এবং ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান সংকট সমাধানে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, “সামাজিক ব্যবসার ভিত্তিতে এমন একটি জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন নির্গমন এবং ব্যক্তিগত মুনাফার পরিবর্তে মানুষের কল্যাণই হবে মূল লক্ষ্য।”

শেষে তিনি বলেন, “শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্ব যদি মানবিকতা, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার আলোকে পরিচালিত না হয়, তবে উন্নয়নের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিন-রোহিঙ্গা সংকট উপেক্ষিত না হোক : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:২৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশ্বব্যাপী চলমান ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা সংকট মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আর্থনা সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বিশ্ব যেন ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় এবং বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশাকে উপেক্ষা না করে। এসব সংকট শুধু একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের বিষয় নয়, এটি গোটা মানবজাতির বিবেকের প্রশ্ন।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মানবাধিকারের প্রতি অবহেলা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এই চক্র ভাঙতে হলে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারী ও তরুণদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

“নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে হবে এবং তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দিতে হবে,” বলেন ড. ইউনূস।

তিনি জানান, আর্থনা সম্মেলনের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো উদ্ভাবনী চিন্তা, ঐতিহ্যের সংরক্ষণ এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক বৈষম্য এবং ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান সংকট সমাধানে আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, “সামাজিক ব্যবসার ভিত্তিতে এমন একটি জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন নির্গমন এবং ব্যক্তিগত মুনাফার পরিবর্তে মানুষের কল্যাণই হবে মূল লক্ষ্য।”

শেষে তিনি বলেন, “শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্ব যদি মানবিকতা, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার আলোকে পরিচালিত না হয়, তবে উন্নয়নের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে।