ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে রাজি নয় জর্ডান ও মিশর লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। মুলতানে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত ৩১ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গ্রিনল্যান্ড কিনতে মরিয়া, গা*জা খালি করার চেষ্টায় ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময়: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কলম্বিয়ায় মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজের অবতরণ ব্যাহত, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে গোলবন্যায় বার্সেলোনা চরমোনাই পীরের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল রোহিঙ্গা সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অঙ্গীকার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈলের ছবি ধারণ করল রাশিয়া 

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়ার স্যাটেলাইট মেটিওর-এম সম্প্রতি বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল A23a-এর চমৎকার ছবি ধারণ করেছে। এই বিশাল হিমশৈলের আয়তন প্রায় ৩,৬৭২ বর্গকিলোমিটার, যা যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড রাজ্যের সমান। ওজন প্রায় ১ বিলিয়ন টন, যা এক নজরে প্রকৃতির অসীম শক্তির প্রমাণ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটি বর্তমানে দক্ষিণ মহাসাগরে অবস্থান করছে এবং ধীরে ধীরে আটলান্টিকের সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের দিকে এগোচ্ছে। এটি ভেসে যাওয়ার প্রক্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বরফের গলনের একটি বাস্তব উদাহরণ।

বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার মতো রাশিয়ার এই স্যাটেলাইটও পৃথিবীর পরিবেশগত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। হিমশৈলগুলোর গতিবিধি অনুসন্ধান করে গবেষকরা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র, সমুদ্রের স্রোত এবং বৈশ্বিক পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব নির্ধারণ করছেন।

A23a-এর মতো বিশাল হিমশৈলগুলো শুধু প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং পরিবেশের উপর মানুষের কার্যকলাপের সুদূরপ্রসারী প্রভাবও তুলে ধরে। এই হিমশৈলটির ভ্রমণ প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার অবারিত সম্ভাবনার দিকেও ইঙ্গিত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
৫০২ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈলের ছবি ধারণ করল রাশিয়া 

আপডেট সময় ০১:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাশিয়ার স্যাটেলাইট মেটিওর-এম সম্প্রতি বিশ্বের বৃহত্তম হিমশৈল A23a-এর চমৎকার ছবি ধারণ করেছে। এই বিশাল হিমশৈলের আয়তন প্রায় ৩,৬৭২ বর্গকিলোমিটার, যা যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড রাজ্যের সমান। ওজন প্রায় ১ বিলিয়ন টন, যা এক নজরে প্রকৃতির অসীম শক্তির প্রমাণ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটি বর্তমানে দক্ষিণ মহাসাগরে অবস্থান করছে এবং ধীরে ধীরে আটলান্টিকের সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের দিকে এগোচ্ছে। এটি ভেসে যাওয়ার প্রক্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বরফের গলনের একটি বাস্তব উদাহরণ।

বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার মতো রাশিয়ার এই স্যাটেলাইটও পৃথিবীর পরিবেশগত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। হিমশৈলগুলোর গতিবিধি অনুসন্ধান করে গবেষকরা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র, সমুদ্রের স্রোত এবং বৈশ্বিক পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব নির্ধারণ করছেন।

A23a-এর মতো বিশাল হিমশৈলগুলো শুধু প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং পরিবেশের উপর মানুষের কার্যকলাপের সুদূরপ্রসারী প্রভাবও তুলে ধরে। এই হিমশৈলটির ভ্রমণ প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার অবারিত সম্ভাবনার দিকেও ইঙ্গিত করে।