ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থী দিবস ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই উইমেনস ডে’। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের এক বছর আগের সাহসিকতা ও প্রতিবাদকে সম্মান জানানো হয়।

রাত ১২টা ২০ মিনিটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঘোষণা দেন, প্রতিবছর ১৪ জুলাই ‘নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাই ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি বলেন, “এই দুইটি দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এক বছর আগে নারী শিক্ষার্থীরা যে অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, এই ঘোষণা তারই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।”

২০২৪ সালের ১৪ জুলাই কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সময় ‘রাজাকার’ শব্দ প্রয়োগে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ওই রাতেই সাহসিকতা দেখিয়ে হলের তালা ভেঙে রাস্তায় নেমে আসেন নারী শিক্ষার্থীরা এবং ফ্যাসিবাদী দমননীতির বিরুদ্ধে মুখর হন। সেই অভূতপূর্ব প্রতিবাদই পরবর্তীতে আন্দোলনে এনে দেয় নতুন গতি।

‘জুলাই উইমেনস ডে’-এর আয়োজনে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যে তারা দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান। অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, টিএসসি, শামসুন্নাহার হল ও রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হয় জুলাই অভ্যুত্থানভিত্তিক ডকুমেন্টারি ও অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা। ছিল পোস্টার প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি ড্রোন শো, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনগুলোতেও প্রতিবছর জুলাই মাসজুড়ে নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন চালিয়ে যাওয়া হবে। সাহসিকতা, প্রতিবাদ ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এই স্মৃতি ভবিষ্যতের প্রজন্মকে পথ দেখাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থী দিবস ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা

আপডেট সময় ০২:২৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই উইমেনস ডে’। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের এক বছর আগের সাহসিকতা ও প্রতিবাদকে সম্মান জানানো হয়।

রাত ১২টা ২০ মিনিটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঘোষণা দেন, প্রতিবছর ১৪ জুলাই ‘নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাই ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি বলেন, “এই দুইটি দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এক বছর আগে নারী শিক্ষার্থীরা যে অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, এই ঘোষণা তারই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।”

২০২৪ সালের ১৪ জুলাই কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সময় ‘রাজাকার’ শব্দ প্রয়োগে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ওই রাতেই সাহসিকতা দেখিয়ে হলের তালা ভেঙে রাস্তায় নেমে আসেন নারী শিক্ষার্থীরা এবং ফ্যাসিবাদী দমননীতির বিরুদ্ধে মুখর হন। সেই অভূতপূর্ব প্রতিবাদই পরবর্তীতে আন্দোলনে এনে দেয় নতুন গতি।

‘জুলাই উইমেনস ডে’-এর আয়োজনে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যে তারা দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান। অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, টিএসসি, শামসুন্নাহার হল ও রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হয় জুলাই অভ্যুত্থানভিত্তিক ডকুমেন্টারি ও অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা। ছিল পোস্টার প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং একটি ড্রোন শো, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনগুলোতেও প্রতিবছর জুলাই মাসজুড়ে নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন চালিয়ে যাওয়া হবে। সাহসিকতা, প্রতিবাদ ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো এই স্মৃতি ভবিষ্যতের প্রজন্মকে পথ দেখাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।