বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৭:৪১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / 5
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের জাহাজশিল্প ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সিঙ্গাপুরে দেশটির ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী জেফ্রি সিও-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন। উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে জাহাজশিল্প খাতে বিনিয়োগের এখন অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত, ফলে সিঙ্গাপুর এ খাতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে।”
তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুরের বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতা বিশ্বস্বীকৃত। বাংলাদেশে বন্দর উন্নয়ন, বে-টার্মিনাল প্রকল্প, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে শিপইয়ার্ড নির্মাণ এবং মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।”
বৈঠকে উপদেষ্টা বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে সিঙ্গাপুরের পরিবহনমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রেও দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে বে-টার্মিনাল নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ৬৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি খরচ কমবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।
এই বে-টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে আসন্ন অক্টোবরের মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক পিএসএ’র সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিপইয়ার্ড নির্মাণে সিঙ্গাপুর সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে উপদেষ্টা সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ জানান, বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ নাবিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং ট্রানজিট ভিসা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য। সিঙ্গাপুরের পরিবহনমন্ত্রী এসব বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্রসংস্থা (আইএমও)-এর কাউন্সিল সদস্য হওয়ার প্রার্থী হয়েছে। এ নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন তিনি। বৈঠকে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।