টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় রাজধানীতে দুর্ভোগ, বিপর্যস্ত জনজীবন

- আপডেট সময় ০৩:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / 5
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পর থেকেই সারাদেশের মতো রাজধানী ঢাকায়ও তার প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে।
টানা বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় রাজধানীর জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে কর্মস্থল, স্কুল-কলেজ কিংবা জরুরি গন্তব্যে ছুটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। যাতায়াতে সময় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ লেগে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণপরিবহনের সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ।
কারওয়ান বাজার এলাকায় অপেক্ষমাণ শরিফ হোসেন বলেন, “সকাল ৯টায় অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু যানজট আর পানির কারণে অফিসে পৌঁছাতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা।”
মিরপুরের এক স্কুলছাত্র জাফির জানায়, “বাসা থেকে ইউনিফর্ম পরে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি ও কাদাপানিতে সব কাপড় ভিজে গেছে। ভীষণ কষ্ট হয়েছে।” বিশ্বরোড এলাকায় কর্মজীবী নারী নাহিদা বলেন, “টানা বৃষ্টিতে বাসেই উঠা যাচ্ছে না। সিএনজিগুলো আবার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া চাইছে। চাকরি রাখতে হলে কী আর করা, যেতে তো হবেই।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী দুই দিন সারা দেশে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ জানান, বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। তবে নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চল ও পার্বত্য এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি থাকায় সতর্ক থাকা জরুরি।
আবহাওয়া অধিদফতর দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং সব নৌ বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে তার আগ পর্যন্ত থাকতে হবে সতর্ক ও প্রস্তুত।