ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি পাচার হতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ স্থলবন্দরের ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে।

অভিযানের সময় চারজন সন্দেহভাজনকে কয়েকটি বস্তা নিয়ে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়। যৌথবাহিনী তাদের থামতে নির্দেশ দিলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাহিনী সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্দেহভাজনরা দুটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের বস্তা ফেলে পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা আগে থেকেই পাহাড়ি পালানোর পথ চিনে রেখেছিল।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশব্যাপী নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ দমন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।”

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি পাচার হতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ স্থলবন্দরের ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে।

অভিযানের সময় চারজন সন্দেহভাজনকে কয়েকটি বস্তা নিয়ে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়। যৌথবাহিনী তাদের থামতে নির্দেশ দিলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাহিনী সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্দেহভাজনরা দুটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের বস্তা ফেলে পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা আগে থেকেই পাহাড়ি পালানোর পথ চিনে রেখেছিল।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশব্যাপী নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ দমন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।”

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।