জার্মানির AfD দমন নিয়ে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র, ‘গণতন্ত্র হুমকির মুখে’- বললেন মার্কিন নেতারা

- আপডেট সময় ০৭:২০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 23
জার্মানির কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (AfD)-কে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা। এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকরা। তাদের মতে, এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং স্বৈরাচারী আচরণ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ বিষয়ে কড়া ভাষায় বলেন, “শরণার্থীদের জন্য খোলা সীমান্ত নীতিই আসলে চরমপন্থার প্রতীক, AfD নয়। জনগণের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে এই নীতিই বাস্তব হুমকি।”
আর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স একধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেন, “এক সময় পশ্চিমা বিশ্ব একত্র হয়ে বার্লিন প্রাচীর ভেঙেছিল। অথচ আজ সেই দেয়াল আবার গড়ে উঠছে এবার রাশিয়া নয়, জার্মান সরকারই নিজ দেশে তা করছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, AfD-কে চরমপন্থী হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা রয়েছে। বিশেষ করে এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ এসেছে, যখন সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে AfD-এর জনপ্রিয়তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে যা ক্ষমতাসীন CDU-SPD জোটের চেয়েও বেশি।
এই দলটি অভিবাসনবিরোধী অবস্থান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা এবং জার্মানির ঐতিহ্যগত জাতীয়তাবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত। তবে তাদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং তরুণ ভোটারদের মধ্যে সমর্থন বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান মহল নির্বাচনের আগ থেকেই AfD-এর প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করে আসছে। তাই দলটিকে চরমপন্থী ঘোষণার ঘটনায় তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক দমনপীড়ন হিসেবে দেখছে।
এদিকে জার্মান সরকার বলছে, চরমপন্থার বিরুদ্ধে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় গোয়েন্দা সংস্থার এই পদক্ষেপ আইনগতভাবেই বৈধ। তবে মার্কিন নেতাদের এমন প্রকাশ্য সমালোচনায় বার্লিন-ওয়াশিংটন সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের।
এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।