ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেআইনি শেড নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তোড়জোড়ের মধ্যে নতুন করে শেড নির্মাণ এবং বনভূমি দখলের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘সওয়াব’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা পাহাড় কেটে এবং সরকারি বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে বসতি নির্মাণ করছিল বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বুধবার (১৬ এপ্রিল) উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ নির্মাণ সামগ্রী, কাটা গাছ, রড ও সিমেন্ট জব্দ করা হয়। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সেখানে ‘আমেনা ভিলেজ’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছিল, যা প্রশাসনের নির্দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “সরকার রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এই মুহূর্তে নতুন শেড নির্মাণের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”

তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে বেশ কিছু আগেই কাটা গাছ উদ্ধার করা হয় এবং তা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শেড নির্মাণে ব্যবহৃত এলাকা সামাজিক বনায়নের অংশ বলে জানিয়েছেন থাইনখালী বনবিট কর্মকর্তা।

এনজিও সওয়াব দাবি করেছে, পাহাড়ধ্বসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা নতুন ঘর নির্মাণ করছিল। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, “সওয়াব এনজিওটি স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে যোগসাজশে বন বিভাগের গাছ কেটে তা মাটি চাপা দিয়ে শেড নির্মাণ করে আসছিল। এর পেছনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও রাতারাতি শতাধিক অবৈধ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।” তিনি অবিলম্বে এসব অবৈধ ঘর ভেঙে ফেলার দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকার ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ও এলাকাবাসীর সমর্থন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুরো বিষয়টি ঘিরে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেআইনি শেড নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন

আপডেট সময় ০৩:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তোড়জোড়ের মধ্যে নতুন করে শেড নির্মাণ এবং বনভূমি দখলের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘সওয়াব’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা পাহাড় কেটে এবং সরকারি বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে বসতি নির্মাণ করছিল বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বুধবার (১৬ এপ্রিল) উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ নির্মাণ সামগ্রী, কাটা গাছ, রড ও সিমেন্ট জব্দ করা হয়। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সেখানে ‘আমেনা ভিলেজ’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছিল, যা প্রশাসনের নির্দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “সরকার রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এই মুহূর্তে নতুন শেড নির্মাণের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”

তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে বেশ কিছু আগেই কাটা গাছ উদ্ধার করা হয় এবং তা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শেড নির্মাণে ব্যবহৃত এলাকা সামাজিক বনায়নের অংশ বলে জানিয়েছেন থাইনখালী বনবিট কর্মকর্তা।

এনজিও সওয়াব দাবি করেছে, পাহাড়ধ্বসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা নতুন ঘর নির্মাণ করছিল। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, “সওয়াব এনজিওটি স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে যোগসাজশে বন বিভাগের গাছ কেটে তা মাটি চাপা দিয়ে শেড নির্মাণ করে আসছিল। এর পেছনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও রাতারাতি শতাধিক অবৈধ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।” তিনি অবিলম্বে এসব অবৈধ ঘর ভেঙে ফেলার দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকার ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ও এলাকাবাসীর সমর্থন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুরো বিষয়টি ঘিরে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।