ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা দম্পতির তিন বছরের কারাদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ইভ্যালির চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মডেলের মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। নির্ধারিত মূল্যের পুরো অর্থও তিনি পরিশোধ করেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি।

পরে ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফাহিমকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংক হিসাবে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় তাকে তা জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। আসামিদের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি চেকটি জমা দেননি। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত পেতে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী ফাহিম ঢাকার আদালতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত রায় দেন।

ই-কমার্স খাতের অব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক প্রতারণার আলোকে এ রায়কে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতে গ্রাহক অধিকার রক্ষায় বড় বার্তা বহন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা দম্পতির তিন বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ইভ্যালির চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মডেলের মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। নির্ধারিত মূল্যের পুরো অর্থও তিনি পরিশোধ করেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় ইভ্যালি।

পরে ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফাহিমকে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংক হিসাবে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় তাকে তা জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। আসামিদের প্রতি বিশ্বাস রেখে তিনি চেকটি জমা দেননি। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত পেতে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী ফাহিম ঢাকার আদালতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত রায় দেন।

ই-কমার্স খাতের অব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক প্রতারণার আলোকে এ রায়কে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতে গ্রাহক অধিকার রক্ষায় বড় বার্তা বহন করবে।