বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান

- আপডেট সময় ০৬:০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 4
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পলায়নের পর বাংলাদেশ ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক দূরত্ব বাড়ছে। একই সময়ে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। এমন ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনে উদ্বেগ জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জেনারেল চৌহান বলেন, “বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান এখন নিজেদের স্বার্থে একে অপরের দিকে ঝুঁকছে। এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ঋণ-কূটনীতির মাধ্যমে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে এসব রাষ্ট্র ভারতের জন্য ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।”
সরকার পরিবর্তনের হার এবং আদর্শগত দোলাচলকেও ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, এই পরিবর্তনশীলতা ভারতের কৌশলগত অবস্থানে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং ইসলামাবাদকে চীনের সমর্থন নিয়েও মন্তব্য করেন জেনারেল চৌহান। তিনি বলেন, “সম্ভবত ইতিহাসে এই প্রথম দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে।”
তিনি জানান, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান তার সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সংগ্রহ করেছে চীন থেকে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগজনক একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
চীন ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তাতে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মহলে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ত্রিদেশীয় ঘনিষ্ঠতা ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে কৌশল নির্ধারণে বাধ্য করতে পারে।
জেনারেল চৌহান তাঁর বক্তব্যে ভারতকে কৌশলগতভাবে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।