ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাপী সহিংসতা বন্ধে শান্তি ও সংহতির বার্তা নিয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতিসংলাপ ও একতার আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ লিও চতুর্দশ। বুধবার (১৪ মে) ভ্যাটিকানে ইস্টার্ন ক্যাথলিক চার্চগুলোর সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বিশ্বে শান্তি যেন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।” নতুন পোপ আরও বলেন, “পবিত্র ভূমি, ইউক্রেন, লেবানন, সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, টাইগ্রে কিংবা ককেশাস—সবখানেই সহিংসতা চলছেই। এই কঠিন সময়েও আপনাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ ঈশ্বরের কৃপায় শান্তির বীজ বপন করে যাচ্ছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

বিশ্বের প্রায় ১৪০ কোটির বেশি ক্যাথলিক অনুসারীদের নতুন এই ধর্মগুরু মার্কিন নাগরিক লিও চতুর্দশ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায় পূর্বনির্ধারিত এই সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের মানুষ আজ শান্তি চায়। তাই আমি বিশ্বনেতাদের হৃদয়ের গভীর থেকে অনুরোধ জানাই—আসুন, আমরা একত্র হই, কথা বলি, আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথ খুঁজি।”

ভ্যাটিকানে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ সভাটি ২০২৫ সালের ‘জুবিলি হলি ইয়ার’ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়, যেখানে ইস্টার্ন ক্যাথলিক চার্চের ২৩টি শাখার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসব চার্চ পূর্ব ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।

পোপ লিও মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টানদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তায় বলেন, “তাদের যেন নিজ ভূমি ছাড়তে না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। শুধু কথার মাধ্যমে নয়, বাস্তব অর্থে তাদের স্বদেশে নিরাপদে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”

পোপের এই বক্তব্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বে ধর্মীয় নেতৃত্ব থেকে এমন মানবিক ও সংহতির বার্তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের

আপডেট সময় ০৭:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

বিশ্বব্যাপী সহিংসতা বন্ধে শান্তি ও সংহতির বার্তা নিয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতিসংলাপ ও একতার আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ লিও চতুর্দশ। বুধবার (১৪ মে) ভ্যাটিকানে ইস্টার্ন ক্যাথলিক চার্চগুলোর সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বিশ্বে শান্তি যেন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।” নতুন পোপ আরও বলেন, “পবিত্র ভূমি, ইউক্রেন, লেবানন, সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, টাইগ্রে কিংবা ককেশাস—সবখানেই সহিংসতা চলছেই। এই কঠিন সময়েও আপনাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ ঈশ্বরের কৃপায় শান্তির বীজ বপন করে যাচ্ছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

বিশ্বের প্রায় ১৪০ কোটির বেশি ক্যাথলিক অনুসারীদের নতুন এই ধর্মগুরু মার্কিন নাগরিক লিও চতুর্দশ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায় পূর্বনির্ধারিত এই সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের মানুষ আজ শান্তি চায়। তাই আমি বিশ্বনেতাদের হৃদয়ের গভীর থেকে অনুরোধ জানাই—আসুন, আমরা একত্র হই, কথা বলি, আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পথ খুঁজি।”

ভ্যাটিকানে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ সভাটি ২০২৫ সালের ‘জুবিলি হলি ইয়ার’ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়, যেখানে ইস্টার্ন ক্যাথলিক চার্চের ২৩টি শাখার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসব চার্চ পূর্ব ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।

পোপ লিও মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টানদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তায় বলেন, “তাদের যেন নিজ ভূমি ছাড়তে না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। শুধু কথার মাধ্যমে নয়, বাস্তব অর্থে তাদের স্বদেশে নিরাপদে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”

পোপের এই বক্তব্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বে ধর্মীয় নেতৃত্ব থেকে এমন মানবিক ও সংহতির বার্তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মন্তব্য করেন।