ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

মস্কোয় পুতিন-শি শি চিনপিং এর বৈঠক: চীন-রাশিয়া সম্পর্ক নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

 

বিশ্ব রাজনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মস্কোয় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই নেতা চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে আরও ‘গভীর ও কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।

ক্রেমলিনে দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠকের পর দুই নেতা এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে একটি ‘নতুন যুগের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ রূপান্তর করা হয়েছে।

পুতিন বলেন, “বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বে স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “চীনের সঙ্গে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও উন্মুক্ত বৈশ্বিক ব্যবস্থার পক্ষে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।”

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেন, “রাশিয়া ও চীন বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক এবং অগ্রসর শক্তি হিসেবে কাজ করছে।” তিনি বিশ্ব শাসনে দুই দেশের যৌথ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আমরা একসঙ্গে একপাক্ষিকতা ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও চীন একে অপরের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এ কারণেই বৈঠকটিকে সময়োপযোগী এবং কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ‘গুণগত অগ্রগতি’ আনার লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করবে। তিনি বলেন, “চীনা প্রযুক্তি ও শিল্প অভিজ্ঞতা রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং বর্তমানে রাশিয়া চীনের গাড়ির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।”

চীন বর্তমানে রাশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাশিয়ার অর্থনীতিকে টিকে থাকতে সহায়তা করছে।

বৈঠক শেষে উভয় দেশ ২০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা, জৈব নিরাপত্তা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, চলচ্চিত্র সহযোগিতা ও কোয়ারান্টাইন পরিদর্শন ইত্যাদি।

এছাড়া, শি চিনপিংসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কো সফর করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মস্কোয় পুতিন-শি শি চিনপিং এর বৈঠক: চীন-রাশিয়া সম্পর্ক নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ১০:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

বিশ্ব রাজনীতির ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং মস্কোয় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই নেতা চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে আরও ‘গভীর ও কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।

ক্রেমলিনে দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠকের পর দুই নেতা এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয়, চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে একটি ‘নতুন যুগের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ রূপান্তর করা হয়েছে।

পুতিন বলেন, “বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বে স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “চীনের সঙ্গে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও উন্মুক্ত বৈশ্বিক ব্যবস্থার পক্ষে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।”

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেন, “রাশিয়া ও চীন বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক এবং অগ্রসর শক্তি হিসেবে কাজ করছে।” তিনি বিশ্ব শাসনে দুই দেশের যৌথ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আমরা একসঙ্গে একপাক্ষিকতা ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও চীন একে অপরের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এ কারণেই বৈঠকটিকে সময়োপযোগী এবং কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ‘গুণগত অগ্রগতি’ আনার লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করবে। তিনি বলেন, “চীনা প্রযুক্তি ও শিল্প অভিজ্ঞতা রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং বর্তমানে রাশিয়া চীনের গাড়ির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।”

চীন বর্তমানে রাশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাশিয়ার অর্থনীতিকে টিকে থাকতে সহায়তা করছে।

বৈঠক শেষে উভয় দেশ ২০টিরও বেশি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা, জৈব নিরাপত্তা, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, চলচ্চিত্র সহযোগিতা ও কোয়ারান্টাইন পরিদর্শন ইত্যাদি।

এছাড়া, শি চিনপিংসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কো সফর করছেন।