ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

আমাকে নিয়ে চালানো হচ্ছে রাজনীতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার: টিউলিপ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্ত ও অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ একটি মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাকে হেনস্তা করতে চাচ্ছে।”

টিউলিপ জানান, তার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির পেছনে কোনো ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।”

টিউলিপের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানায়, “দুদক গণমাধ্যমে মিসেস সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাদের পক্ষ থেকে সব অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। বরং এগুলোর পেছনে রয়েছে নথিভুক্ত প্রমাণ এবং প্রকৃত দুর্নীতির তথ্য।”

দুদক দাবি করেছে, তারা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে। এই তদন্তের ভিত্তি রূপে কাজ করছে শেখ হাসিনার বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগ।

ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রাখেন, যার আওতায় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেশি দেখানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি ব্যক্তিগত মামলা, এবং আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখলেও কোনো অসংগতি খুঁজে পাননি। তার পরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
৫৩০ বার পড়া হয়েছে

আমাকে নিয়ে চালানো হচ্ছে রাজনীতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার: টিউলিপ

আপডেট সময় ১০:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্ত ও অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ একটি মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আমাকে হেনস্তা করতে চাচ্ছে।”

টিউলিপ জানান, তার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানির পেছনে কোনো ভিত্তি নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।”

টিউলিপের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানায়, “দুদক গণমাধ্যমে মিসেস সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাদের পক্ষ থেকে সব অভিযোগের লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। বরং এগুলোর পেছনে রয়েছে নথিভুক্ত প্রমাণ এবং প্রকৃত দুর্নীতির তথ্য।”

দুদক দাবি করেছে, তারা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে। এই তদন্তের ভিত্তি রূপে কাজ করছে শেখ হাসিনার বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগ।

ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকা রাখেন, যার আওতায় একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বেশি দেখানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি ব্যক্তিগত মামলা, এবং আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখলেও কোনো অসংগতি খুঁজে পাননি। তার পরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।