বিমান দূর্ঘটনা
সুদানে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৪৬, তদন্ত চলছে

- আপডেট সময় ০৮:৩৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 29
সুদানের রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওয়াদি-সেদনা বিমান ঘাঁটির কাছে সামরিক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রথমে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের সংখ্যা ৪৬ বলে নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের কিছুক্ষণ পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তে কারিগরি ত্রুটিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কোনো ঘটনা এর সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। দেশটির চলমান গৃহযুদ্ধে সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। এরই মধ্যে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমানের এই দুর্ঘটনা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের পর বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় পড়লে কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিহতদের মধ্যে বাড়ির বাসিন্দারা রয়েছেন কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। আহতদের দ্রুত ওমদুরমানের আল-নাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সুদানের সেনাবাহিনী তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান সংঘাতের মধ্যে এ দুর্ঘটনা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশটির সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সামরিক সরঞ্জামের কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সুদানের চলমান সংঘাত আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ বা সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।