ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে ঈদ রোববার আকাশে বিরল বিস্ফোরণের দৃশ্য: আজ দেখা যেতে পারে ‘নোভা’র চমক গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সুইসাইড’ বা আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেলন কিম জং উন: নতুন সামরিক রূপে উত্তর কোরিয়া ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি ঈদ উৎসবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া: উত্তরে প্রস্তুতি চলছে বর্ণিল ঈদ মিছিলের- জানালেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা ঐতিহ্য আর ভক্তির মিলনমেলা—তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নান ও লোকজ উৎসব ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের

এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

চীনের হাইনানে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এক অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ), তিনি বলেন বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এশিয়ার দেশগুলোর ভবিষ্যৎ একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে তিনি এশিয়ার নেতৃবৃন্দকে একটি অভিন্ন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের স্রোতে আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা এখন আর কেবল একটি ধারণা নয়, এটি বাস্তবতা। আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে যৌথ পদক্ষেপ ও ঐক্যবদ্ধ কৌশলের উপর।”

বিশ্বায়নের এই সময়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “এশিয়াকে এখনই একটি টেকসই অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা আমাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষম। আমাদের এমন একটি তহবিল প্রয়োজন, যা শুধু উন্নয়ন প্রকল্পেই নয়, বরং সংকট মোকাবেলায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে গঠিত এমন একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে।

বোয়াও ফোরামটি এশিয়ার ‘ডাভোস’ হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও চিন্তাবিদদের একত্র করে আলোচনা ও দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত।

অধ্যাপক ইউনূসের এই আহ্বান কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এশিয়ার জন্য একটি মানবিক, সহযোগিতামূলক ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে যেখানে সবাই মিলে গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট সময় ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

চীনের হাইনানে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এক অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ), তিনি বলেন বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এশিয়ার দেশগুলোর ভবিষ্যৎ একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে তিনি এশিয়ার নেতৃবৃন্দকে একটি অভিন্ন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের স্রোতে আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা এখন আর কেবল একটি ধারণা নয়, এটি বাস্তবতা। আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে যৌথ পদক্ষেপ ও ঐক্যবদ্ধ কৌশলের উপর।”

বিশ্বায়নের এই সময়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “এশিয়াকে এখনই একটি টেকসই অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা আমাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষম। আমাদের এমন একটি তহবিল প্রয়োজন, যা শুধু উন্নয়ন প্রকল্পেই নয়, বরং সংকট মোকাবেলায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে গঠিত এমন একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে।

বোয়াও ফোরামটি এশিয়ার ‘ডাভোস’ হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও চিন্তাবিদদের একত্র করে আলোচনা ও দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত।

অধ্যাপক ইউনূসের এই আহ্বান কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এশিয়ার জন্য একটি মানবিক, সহযোগিতামূলক ও দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে যেখানে সবাই মিলে গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ।