ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা! ইসরায়েল মাদলিন জাহাজ দখল করল: এরপর কী হবে? যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সচিবালয় ও যমুনা বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া: বাস্তবতা না উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সাংবাদিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও মতে, এটি সাংবাদিকতা পেশায় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনবে, অপরদিকে কেউ দেখছেন এতে গলাটিপে ধরার ষড়যন্ত্র।

সিনিয়র সাংবাদিক ও সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, রিপোর্টে বাস্তবতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অবাস্তব ও উদ্ভট প্রস্তাব। তাঁর মতে, ‘কে সাংবাদিক হতে পারবেন’ তা নির্ধারণ বা ‘এক কোম্পানির একাধিক মিডিয়া না থাকা’র মতো সুপারিশ বাস্তবতা বিবর্জিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায় সরকারের বেতন কাঠামো চাপিয়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক?

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী মন্তব্য করেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বিসিএস ক্যাডারদের মতো সাংবাদিকদের বেতন নির্ধারণ করা অধিকাংশ মিডিয়া হাউজের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। তিনি মনে করেন, কিছু সুপারিশ বড় কোনো মিডিয়া হাউজের ইন্ধনে এসেছে। ‘ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া’ নীতিকে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন।

অন্যদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন কমিশনের সুপারিশকে সময়োপযোগী ও যৌক্তিক বলে দাবি করেন। তার মতে, ভালো বেতন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পেশার মানোন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, দেশের গণমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নেই, যা কালো টাকার দাপটে নিয়ন্ত্রিত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গণমাধ্যমকে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাবও এসেছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গত ১৮ নভেম্বর কাজ শুরু করে এবং সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেয়।

তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পেছনে সত্যিই কি সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন, নাকি নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা? নির্বাচনের আগে এমন প্রস্তাব কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সাংবাদিক সমাজে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া: বাস্তবতা না উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা?

আপডেট সময় ১০:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সাংবাদিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও মতে, এটি সাংবাদিকতা পেশায় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনবে, অপরদিকে কেউ দেখছেন এতে গলাটিপে ধরার ষড়যন্ত্র।

সিনিয়র সাংবাদিক ও সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, রিপোর্টে বাস্তবতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অবাস্তব ও উদ্ভট প্রস্তাব। তাঁর মতে, ‘কে সাংবাদিক হতে পারবেন’ তা নির্ধারণ বা ‘এক কোম্পানির একাধিক মিডিয়া না থাকা’র মতো সুপারিশ বাস্তবতা বিবর্জিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায় সরকারের বেতন কাঠামো চাপিয়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক?

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী মন্তব্য করেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বিসিএস ক্যাডারদের মতো সাংবাদিকদের বেতন নির্ধারণ করা অধিকাংশ মিডিয়া হাউজের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। তিনি মনে করেন, কিছু সুপারিশ বড় কোনো মিডিয়া হাউজের ইন্ধনে এসেছে। ‘ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া’ নীতিকে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন।

অন্যদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন কমিশনের সুপারিশকে সময়োপযোগী ও যৌক্তিক বলে দাবি করেন। তার মতে, ভালো বেতন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ পেশার মানোন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, দেশের গণমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নেই, যা কালো টাকার দাপটে নিয়ন্ত্রিত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গণমাধ্যমকে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাবও এসেছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গত ১৮ নভেম্বর কাজ শুরু করে এবং সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেয়।

তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পেছনে সত্যিই কি সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন, নাকি নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা? নির্বাচনের আগে এমন প্রস্তাব কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সাংবাদিক সমাজে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।