ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা! ইসরায়েল মাদলিন জাহাজ দখল করল: এরপর কী হবে? যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সচিবালয় ও যমুনা বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা ডিএমপির হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

কল্যাণপুরে কথিত জঙ্গি অভিযানে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি শহীদুলসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

২০১৬ সালের কল্যাণপুরের আলোচিত অভিযানে গণহত্যার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকসহ ছয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পৃথক তিন মামলায় তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

অন্য পাঁচ আসামিরা হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, মিরপুর বিভাগের সাবেক ডিসি মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা, সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দন সরকার, সাবেক সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম মাইনুল ইসলাম।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বৈধতা ও তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়।

মূল অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামের একটি বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে নয়জন তরুণের মৃত্যুর ঘটনা। ঘটনাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। নিহতদের ‘জঙ্গি’ বলে প্রচার করা হলেও স্বজন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

ঘটনার সময় আইজিপি শহীদুল হক সরেজমিনে কল্যাণপুরে যান এবং নিহতদের নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, ওই বাসায় গুলশান হামলার মতো আরেকটি হামলার পরিকল্পনা চলছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় এ ঘটনার পেছনে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও পরিকল্পিত গণহত্যা’র অভিযোগ ওঠে, যা নতুন করে আইনি পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যায়।

এছাড়া রামপুরায় এক যুবককে কার্নিশ থেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজন কুমার সাহা ও চঞ্চল চন্দন সরকারের বিরুদ্ধে এবং গাবতলী এলাকায় বিক্ষোভ দমনকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে এসএম মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনা এই মামলাগুলো এখন জাতীয় পর্যায়ে গভীর উদ্বেগ ও আলোচনা তৈরি করেছে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

কল্যাণপুরে কথিত জঙ্গি অভিযানে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক আইজিপি শহীদুলসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির

আপডেট সময় ০৬:০৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

২০১৬ সালের কল্যাণপুরের আলোচিত অভিযানে গণহত্যার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকসহ ছয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পৃথক তিন মামলায় তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

অন্য পাঁচ আসামিরা হলেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, মিরপুর বিভাগের সাবেক ডিসি মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা, সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দন সরকার, সাবেক সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম মাইনুল ইসলাম।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বৈধতা ও তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়।

মূল অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামের একটি বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে নয়জন তরুণের মৃত্যুর ঘটনা। ঘটনাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। নিহতদের ‘জঙ্গি’ বলে প্রচার করা হলেও স্বজন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

ঘটনার সময় আইজিপি শহীদুল হক সরেজমিনে কল্যাণপুরে যান এবং নিহতদের নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, ওই বাসায় গুলশান হামলার মতো আরেকটি হামলার পরিকল্পনা চলছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় এ ঘটনার পেছনে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও পরিকল্পিত গণহত্যা’র অভিযোগ ওঠে, যা নতুন করে আইনি পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যায়।

এছাড়া রামপুরায় এক যুবককে কার্নিশ থেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজন কুমার সাহা ও চঞ্চল চন্দন সরকারের বিরুদ্ধে এবং গাবতলী এলাকায় বিক্ষোভ দমনকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে এসএম মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনা এই মামলাগুলো এখন জাতীয় পর্যায়ে গভীর উদ্বেগ ও আলোচনা তৈরি করেছে।