গ্রিনল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন আজ, নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে বদলের ইঙ্গিত

- আপডেট সময় ০৭:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
- / 20
ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডে আজ মঙ্গলবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এই অঞ্চলের নির্বাচন বাইরের বিশ্বের তেমন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু না হলেও এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বীপটি কেনার আগ্রহ প্রকাশের পর গ্রিনল্যান্ড আন্তর্জাতিক আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এই দ্বীপটি দীর্ঘ তিন শতাব্দী ধরে ডেনমার্কের শাসনাধীন। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পরিচালনার স্বাধীনতা ভোগ করলেও পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতির নিয়ন্ত্রণ কোপেনহেগেনের হাতে রয়ে গেছে।
প্রতি চার বছর অন্তর দ্বীপটির ৩১ আসনের পার্লামেন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪৪ হাজার ভোটার তাদের মতামত দিচ্ছেন। সরকার গঠনের জন্য যে কোনো দলকে অন্তত ১৬টি আসন নিশ্চিত করতে হবে। ছয়টি দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যার মধ্যে পাঁচটি দলই ডেনমার্ক থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে।
গ্রিনল্যান্ডে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) এবং ফরোয়ার্ড (এস) নামের দুটি দলের জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী মুট এগেদে নেতৃত্বাধীন এই সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেছে, যা দ্বীপটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
এবারের নির্বাচনের গুরুত্ব বহুগুণে বেড়েছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বারবার গ্রিনল্যান্ডের প্রতি আগ্রহ দেখানোর কারণে। ২০১৯ সালে তিনি প্রথম দ্বীপটি কেনার প্রস্তাব দেন, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। চলতি বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পরও তিনি গ্রিনল্যান্ডের ওপর মার্কিন প্রভাব বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন। তবে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের নেতারা ট্রাম্পের এই দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত অবস্থান এবং এর অপার সম্ভাবনাময় খনিজ সম্পদই বিশ্বশক্তিগুলোর নজর কাড়ছে। ভবিষ্যতে এই দ্বীপের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বায়ত্তশাসনের পরিধি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা অনেকাংশেই এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।
নির্বাচনের ফলাফল আগামীকাল বুধবার প্রকাশিত হতে পারে। ফলাফল কী বার্তা বয়ে আনবে, তা এখন সারা বিশ্বের নজর কাড়ছে।