ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি: ড. আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ জানান, কমিশন ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) প্রস্তাবের পরিবর্তন এনে নতুন একটি কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি গঠনের’ কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এনসিসির কাঠামো পরিবর্তন করে সেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, দুই কক্ষের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন—এমন একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই কাঠামোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তবে কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে এবং আরও কিছু সুপারিশও দিয়েছে।”

ড. রীয়াজ আরও বলেন, “এই আলোচনার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে।”

এ সময় তিনি বলেন, এখনো যেহেতু ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগ কমিটি’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তেও পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মত এসেছে। কমিশন এখন সেগুলো বিশ্লেষণ করে একটি সংহত প্রস্তাব তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে গঠিত এই কমিশন চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ খুঁজতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী বৈঠকগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি: ড. আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০৮:২৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ড. আলী রীয়াজ জানান, কমিশন ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) প্রস্তাবের পরিবর্তন এনে নতুন একটি কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি গঠনের’ কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এনসিসির কাঠামো পরিবর্তন করে সেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, দুই কক্ষের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন—এমন একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই কাঠামোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তবে কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে এবং আরও কিছু সুপারিশও দিয়েছে।”

ড. রীয়াজ আরও বলেন, “এই আলোচনার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে।”

এ সময় তিনি বলেন, এখনো যেহেতু ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগ কমিটি’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তেও পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মত এসেছে। কমিশন এখন সেগুলো বিশ্লেষণ করে একটি সংহত প্রস্তাব তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে গঠিত এই কমিশন চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ খুঁজতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী বৈঠকগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।