ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, মরদেহ ফেলার সময় আটক ২ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ: ডিএনসিসি প্রশাসক ভোজ্যতেল বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার কমেছে উড়োজাহাজ জ্বালানির দাম দেশীয় গরুর জাত রক্ষায় জরুরি রোডম্যাপের তাগিদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মানবিক করিডোর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বললেন হাফিজ উদ্দিন বিয়ের খরচ চিন্তা করে এখনো সিঙ্গেল সালমান খান!

স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে নিরাপদ ও জনবান্ধব রাখতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক পরিবেশকে আরও অনুকূল করতে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বাড়াতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা ও ত্যাগ মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই জনগণ আপনাদের ওপর সর্বোচ্চ প্রত্যাশা করে। আপনারা হচ্ছেন জনগণের আশার আলো, দুঃসময়ে ভরসার স্থল।”

চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জনঅসন্তোষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না। রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।”

স্বাস্থ্যসেবাকে আরও জনমুখী করতে একাধিক প্রস্তাবনা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে—পোস্টমর্টেম সেবা থানা পর্যায়ে নেওয়া, নারীদের পোস্টমর্টেম নারী চিকিৎসক দিয়ে করানো, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে নারী চিকিৎসক বা সেবিকার মাধ্যমে পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুরুষ চিকিৎসকের স্বাক্ষর গ্রহণ, মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা, মেডিকেল কলেজে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৬ মাস শহর ও ৬ মাস গ্রামে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা।

তিনি বলেন, “এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন সেবা পাবে। একইসঙ্গে, চিকিৎসাখাতের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে এবং মানহীন চিকিৎসক তৈরির প্রবণতা রোধ হবে।”

মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে সিভিল সার্জনদের থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “চিকিৎসকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যখাত আরও জনমুখী, নিরাপদ ও কার্যকর হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:১০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে নিরাপদ ও জনবান্ধব রাখতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক পরিবেশকে আরও অনুকূল করতে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বাড়াতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা ও ত্যাগ মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই জনগণ আপনাদের ওপর সর্বোচ্চ প্রত্যাশা করে। আপনারা হচ্ছেন জনগণের আশার আলো, দুঃসময়ে ভরসার স্থল।”

চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জনঅসন্তোষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না। রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।”

স্বাস্থ্যসেবাকে আরও জনমুখী করতে একাধিক প্রস্তাবনা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে—পোস্টমর্টেম সেবা থানা পর্যায়ে নেওয়া, নারীদের পোস্টমর্টেম নারী চিকিৎসক দিয়ে করানো, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে নারী চিকিৎসক বা সেবিকার মাধ্যমে পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুরুষ চিকিৎসকের স্বাক্ষর গ্রহণ, মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা, মেডিকেল কলেজে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৬ মাস শহর ও ৬ মাস গ্রামে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা।

তিনি বলেন, “এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও মানসম্পন্ন সেবা পাবে। একইসঙ্গে, চিকিৎসাখাতের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে এবং মানহীন চিকিৎসক তৈরির প্রবণতা রোধ হবে।”

মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে সিভিল সার্জনদের থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “চিকিৎসকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যখাত আরও জনমুখী, নিরাপদ ও কার্যকর হবে।