জুলাই-আগস্টে রক্তাক্ত সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০০ জন : চিফ প্রসিকিউটর

- আপডেট সময় ০২:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / 7
গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত নৃশংস সহিংসতার ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তদন্তে শেখ হাসিনার একাধিক টেলিফোন কথোপকথনের সত্যতা মিলেছে, যেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতে শোনা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে “মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল” ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময়কার সহিংসতায় প্রায় ১৫০০ মানুষ নিহত ও ২৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের হত্যা, নারীদের উপর নির্যাতন এবং আহতদের চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার অভিযোগও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের দেহ লুকাতে অনেকক্ষেত্রে একত্রিত করে লাশ পোড়ানো হয়েছে। এমনকি শহীদদের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের নিরপেক্ষভাবে তথ্য প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার আরও দাবি, সরকার নিজস্ব লোকদের দিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দোষ চাপানোর পরিকল্পনা করেছিল। এ বিষয়ে শেখ হাসিনার টেলিফোন কল রেকর্ডসহ একাধিক প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য ভিডিও, অডিও ফুটেজ এবং নিহতদের শরীরে পাওয়া বুলেটের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা সরাসরি সাক্ষ্য দেবেন। তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সবশেষে তদন্ত সংস্থা জানায়, প্রাপ্ত প্রমাণ ও সাক্ষ্য-ভিত্তিতে বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং “জুলাই-আগস্ট গণহত্যা”র বিচার অচিরেই শেষ করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।