ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

শাপলা চত্বরে নিহতদের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দাবি মাহমুদুর রহমানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 72

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে ফের আলোচনায় এলো ১১ বছর আগের শাপলা চত্বরের ঘটনা। ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই এই মামলার উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অপ্রয়োজনীয় কমিশন গঠন করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের অর্থ ও সময় অপচয় করেছেন। এইসব কমিশন জনগণের বিভ্রান্তির হাতিয়ার ছাড়া কিছু নয়।”

এদিকে, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জৈনপুরের পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীও। তিনি বলেন, “মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যেনো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা না হয়। স্বাধীনতা যেন কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বিলিয়ে দেওয়া না হয়, তা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি বিতর্কিত নারী কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “এই কমিশন দিয়ে আমাদের দৃষ্টি ঘুরিয়ে, স্বাধীনতা বিক্রির কোনো সওদাবাজি হচ্ছে কি না সেটাও নজরে রাখা দরকার।” একইসঙ্গে তিনি ব্লাসফেমি আইন পাশের দাবিও জানান।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা শাপলা চত্বরে রক্ত ঝরিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। শহীদদের নাম প্রকাশে যারা ভয় পান, তাদের পরিবারকে সাহস দিয়ে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, “শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের পরিচয় গোপন করে নয় বরং গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে।”

হেফাজতের এই মহাসমাবেশে নানা দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বক্তৃতার মঞ্চ। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে নারীনীতি, স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ ও ধর্মীয় আইন বাস্তবায়নের ইস্যুতে একাধিক বক্তা সরব হন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শাপলা চত্বরে নিহতদের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দাবি মাহমুদুর রহমানের

আপডেট সময় ০১:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে ফের আলোচনায় এলো ১১ বছর আগের শাপলা চত্বরের ঘটনা। ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই এই মামলার উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অপ্রয়োজনীয় কমিশন গঠন করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের অর্থ ও সময় অপচয় করেছেন। এইসব কমিশন জনগণের বিভ্রান্তির হাতিয়ার ছাড়া কিছু নয়।”

এদিকে, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জৈনপুরের পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীও। তিনি বলেন, “মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যেনো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা না হয়। স্বাধীনতা যেন কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বিলিয়ে দেওয়া না হয়, তা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

তিনি বিতর্কিত নারী কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “এই কমিশন দিয়ে আমাদের দৃষ্টি ঘুরিয়ে, স্বাধীনতা বিক্রির কোনো সওদাবাজি হচ্ছে কি না সেটাও নজরে রাখা দরকার।” একইসঙ্গে তিনি ব্লাসফেমি আইন পাশের দাবিও জানান।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা শাপলা চত্বরে রক্ত ঝরিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো হয়নি। শহীদদের নাম প্রকাশে যারা ভয় পান, তাদের পরিবারকে সাহস দিয়ে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, “শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের পরিচয় গোপন করে নয় বরং গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে।”

হেফাজতের এই মহাসমাবেশে নানা দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বক্তৃতার মঞ্চ। শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে নারীনীতি, স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ ও ধর্মীয় আইন বাস্তবায়নের ইস্যুতে একাধিক বক্তা সরব হন।