ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ পাইলট নিহত, আহত আরও ৭ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর গুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পিসহ গ্রেপ্তার ৩

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর নানা দিক উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, এ বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দুই পক্ষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা সম্ভাব্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

বিশেষত কৃষি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন উভয় পক্ষ। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস ও ফিলিপাইনের জনগণের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের বন্ধন ভবিষ্যতে আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে।

অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস ফিলিপাইনের সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার এ ধারাকে ভবিষ্যতে কার্যকর রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই বৈঠক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দুই দেশের সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ

আপডেট সময় ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর নানা দিক উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, এ বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দুই পক্ষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা সম্ভাব্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

বিশেষত কৃষি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন উভয় পক্ষ। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস ও ফিলিপাইনের জনগণের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের বন্ধন ভবিষ্যতে আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে।

অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস ফিলিপাইনের সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার এ ধারাকে ভবিষ্যতে কার্যকর রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই বৈঠক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দুই দেশের সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।