ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর নানা দিক উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, এ বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দুই পক্ষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা সম্ভাব্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

বিশেষত কৃষি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন উভয় পক্ষ। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস ও ফিলিপাইনের জনগণের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের বন্ধন ভবিষ্যতে আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে।

অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস ফিলিপাইনের সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার এ ধারাকে ভবিষ্যতে কার্যকর রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই বৈঠক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দুই দেশের সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ

আপডেট সময় ১১:৫৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর নানা দিক উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, এ বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে দুই পক্ষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা সম্ভাব্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

বিশেষত কৃষি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন উভয় পক্ষ। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কেইনগ্লেট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস ও ফিলিপাইনের জনগণের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা প্রদান করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের বন্ধন ভবিষ্যতে আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে।

অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস ফিলিপাইনের সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার এ ধারাকে ভবিষ্যতে কার্যকর রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই বৈঠক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দুই দেশের সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।