ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ বিচারকের সম্পদের খোঁজে দুদক: আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের অধস্তন আদালতের ১৫ জন বিচারকের সম্পদ বিবরণী ও ব্যক্তিগত নথিপত্র চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক কাজ করছে।

এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ নিয়েছেন এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা তাদের বৈধ আয়ের বাইরে। তারা নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের নামে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও ১৫ জন বিচারকের সম্পদের তথ্য প্রয়োজন। তাদের সর্বশেষ জমাকৃত সম্পদ বিবরণী, ব্যক্তিগত নথিপত্র ও ডাটাশিটের সত্যায়িত অনুলিপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দুদককে সরবরাহ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত তদন্ত কাজ পরিচালনা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ মাল মামুন।

যেসব ১৫ জন বিচারকের নাম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এসিএমএম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মনির কামাল, ঢাকার সাবেক এসিএমএম তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক সিএমএম কাইসারুল ইসলাম, নরসিংদীর সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ শওকত হোসেন, সিরাজগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এবং হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।

দুদক সূত্র জানায়, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৫ বিচারকের সম্পদের খোঁজে দুদক: আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি

আপডেট সময় ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের অধস্তন আদালতের ১৫ জন বিচারকের সম্পদ বিবরণী ও ব্যক্তিগত নথিপত্র চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক কাজ করছে।

এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ নিয়েছেন এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা তাদের বৈধ আয়ের বাইরে। তারা নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের নামে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও ১৫ জন বিচারকের সম্পদের তথ্য প্রয়োজন। তাদের সর্বশেষ জমাকৃত সম্পদ বিবরণী, ব্যক্তিগত নথিপত্র ও ডাটাশিটের সত্যায়িত অনুলিপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দুদককে সরবরাহ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত তদন্ত কাজ পরিচালনা করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ মাল মামুন।

যেসব ১৫ জন বিচারকের নাম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এসিএমএম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মনির কামাল, ঢাকার সাবেক এসিএমএম তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক সিএমএম কাইসারুল ইসলাম, নরসিংদীর সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ শওকত হোসেন, সিরাজগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এবং হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।

দুদক সূত্র জানায়, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অনুসন্ধান অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।