০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

নতুন পথের সন্ধানে ভারত-বাংলাদেশ ব্যাংককে মোদি-ইউনূস বৈঠকে সম্পর্কের উষ্ণতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 163

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই ঘনিষ্ঠ, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে ছায়া পড়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েনের। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই সম্পর্কে দেখা দেয় ভিন্নমাত্রার জটিলতা। পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য।

এই প্রেক্ষাপটে, গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। বৈঠকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করছেন, এ আলোচনা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান টানাপড়েন প্রশমনে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, শুধু একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক থমকে থাকতে পারে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান বলেন, “এই বৈঠক দুই দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে। সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এই কূটনৈতিক সংলাপ।”

তবে আলোচনায় সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইস্যু ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ। এটি এখন দুই দেশের সম্পর্কের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। তবে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা, সে বিষয়ে বিশ্লেষকরা এখনো অনিশ্চিত।

ড. সাহাব এনাম খান বলেন, “ভারতের কাছে বিষয়টি রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির চেয়ে ভারতের নিজস্ব রাজনীতি এ ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফেলবে। তাই শেষ পর্যন্ত প্রত্যর্পণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণের ওপরই নির্ভর করবে।”

বৈঠকের মাধ্যমে আপাতত উষ্ণতা ফিরেছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে। তবে এই উষ্ণতা কতদিন স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে ভারতের পরবর্তী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের ওপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন পথের সন্ধানে ভারত-বাংলাদেশ ব্যাংককে মোদি-ইউনূস বৈঠকে সম্পর্কের উষ্ণতা

আপডেট সময় ১১:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই ঘনিষ্ঠ, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাতে ছায়া পড়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েনের। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই সম্পর্কে দেখা দেয় ভিন্নমাত্রার জটিলতা। পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য।

এই প্রেক্ষাপটে, গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। বৈঠকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করছেন, এ আলোচনা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান টানাপড়েন প্রশমনে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, শুধু একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক থমকে থাকতে পারে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান বলেন, “এই বৈঠক দুই দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে। সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এই কূটনৈতিক সংলাপ।”

তবে আলোচনায় সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইস্যু ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ। এটি এখন দুই দেশের সম্পর্কের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। তবে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা, সে বিষয়ে বিশ্লেষকরা এখনো অনিশ্চিত।

ড. সাহাব এনাম খান বলেন, “ভারতের কাছে বিষয়টি রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির চেয়ে ভারতের নিজস্ব রাজনীতি এ ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফেলবে। তাই শেষ পর্যন্ত প্রত্যর্পণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণের ওপরই নির্ভর করবে।”

বৈঠকের মাধ্যমে আপাতত উষ্ণতা ফিরেছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে। তবে এই উষ্ণতা কতদিন স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে ভারতের পরবর্তী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের ওপর।