০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 66

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব ধরনের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ থেকে বুধবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, “এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আনবে এবং দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে নতুন গতি সঞ্চার করবে।”

বিজ্ঞাপন

তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির শিকার। দেশটির অর্থনীতি আরও স্বনির্ভর করতে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল তাঁর। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে গাড়ি আমদানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু আমেরিকার বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্পেও বড় ধাক্কা দিতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির প্রধান বিদেশি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি এই দেশগুলোর গাড়ি রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। গাড়ি নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চাপ ফেলবে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমদানিকৃত গাড়ির উপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী বছর ঘিরে ট্রাম্পের এ ধরনের বাণিজ্যিক পদক্ষেপ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য তা হতে পারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ

আপডেট সময় ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব ধরনের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ থেকে বুধবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, “এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আনবে এবং দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে নতুন গতি সঞ্চার করবে।”

বিজ্ঞাপন

তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির শিকার। দেশটির অর্থনীতি আরও স্বনির্ভর করতে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল তাঁর। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে গাড়ি আমদানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু আমেরিকার বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্পেও বড় ধাক্কা দিতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির প্রধান বিদেশি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি এই দেশগুলোর গাড়ি রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। গাড়ি নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চাপ ফেলবে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমদানিকৃত গাড়ির উপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী বছর ঘিরে ট্রাম্পের এ ধরনের বাণিজ্যিক পদক্ষেপ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য তা হতে পারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।