ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব ধরনের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ থেকে বুধবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, “এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আনবে এবং দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে নতুন গতি সঞ্চার করবে।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির শিকার। দেশটির অর্থনীতি আরও স্বনির্ভর করতে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল তাঁর। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে গাড়ি আমদানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু আমেরিকার বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্পেও বড় ধাক্কা দিতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির প্রধান বিদেশি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি এই দেশগুলোর গাড়ি রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। গাড়ি নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চাপ ফেলবে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমদানিকৃত গাড়ির উপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী বছর ঘিরে ট্রাম্পের এ ধরনের বাণিজ্যিক পদক্ষেপ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য তা হতে পারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ

আপডেট সময় ০৫:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব ধরনের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

হোয়াইট হাউজ থেকে বুধবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, “এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আনবে এবং দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে নতুন গতি সঞ্চার করবে।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির শিকার। দেশটির অর্থনীতি আরও স্বনির্ভর করতে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল তাঁর। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে গাড়ি আমদানিতে এ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু আমেরিকার বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক গাড়ি শিল্পেও বড় ধাক্কা দিতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির প্রধান বিদেশি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি এই দেশগুলোর গাড়ি রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। গাড়ি নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই চাপ ফেলবে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমদানিকৃত গাড়ির উপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী বছর ঘিরে ট্রাম্পের এ ধরনের বাণিজ্যিক পদক্ষেপ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেললেও, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য তা হতে পারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।