ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

নাইজারের মসজিদে জঙ্গি হামলা, নিহত ৪৪ জন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফোমিতা গ্রাম। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় স্থানীয় একটি মসজিদে চালানো বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৪ জন মুসল্লি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। নিহতদের স্মরণে নাইজার সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সীমান্তঘেঁষা কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে চালানো হয় এই নির্মম হামলা। এলাকাটি বুরকিনা ফাসো ও মালি সীমান্তের কাছাকাছি, যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে চলেছে।

নাইজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলার পেছনে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার কুখ্যাত সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সাহেল’ (ISGS)। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী এই গোষ্ঠীটি এ অঞ্চলজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। তবে হামলার দায় এখনো সরাসরি কেউ স্বীকার করেনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং মালির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গিদের প্রভাব বেড়েই চলেছে। স্থানীয় জনগণ প্রতিনিয়তই আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জঙ্গি হামলায় ধর্মীয় উপাসনালয়ও যে আর নিরাপদ নয়, তা আরও একবার প্রমাণ হলো।

নাইজার সরকার জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে। নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরীহ মানুষের ওপর এ ধরনের নিষ্ঠুর হামলা শুধু মানবতাকেই কলঙ্কিত করে না, বরং গোটা সমাজব্যবস্থাকেই হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে জঙ্গি দমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজারের মসজিদে জঙ্গি হামলা, নিহত ৪৪ জন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

আপডেট সময় ১২:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফোমিতা গ্রাম। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় স্থানীয় একটি মসজিদে চালানো বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৪ জন মুসল্লি। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন। নিহতদের স্মরণে নাইজার সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সীমান্তঘেঁষা কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে চালানো হয় এই নির্মম হামলা। এলাকাটি বুরকিনা ফাসো ও মালি সীমান্তের কাছাকাছি, যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে চলেছে।

নাইজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলার পেছনে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার কুখ্যাত সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সাহেল’ (ISGS)। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী এই গোষ্ঠীটি এ অঞ্চলজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। তবে হামলার দায় এখনো সরাসরি কেউ স্বীকার করেনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং মালির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গিদের প্রভাব বেড়েই চলেছে। স্থানীয় জনগণ প্রতিনিয়তই আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জঙ্গি হামলায় ধর্মীয় উপাসনালয়ও যে আর নিরাপদ নয়, তা আরও একবার প্রমাণ হলো।

নাইজার সরকার জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে। নিরাপত্তা জোরদারে সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরীহ মানুষের ওপর এ ধরনের নিষ্ঠুর হামলা শুধু মানবতাকেই কলঙ্কিত করে না, বরং গোটা সমাজব্যবস্থাকেই হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে জঙ্গি দমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।