টেসলাকে কেন্দ্র করে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ইলন মাস্কের প্রাণনাশের আশঙ্কা

- আপডেট সময় ১০:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 43
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টেসলা গাড়িকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রমশ বাড়ছে সহিংস হামলা। দোকান, চার্জিং স্টেশন থেকে শুরু করে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলোকেও লক্ষ্য করা হচ্ছে আগুন ও ভাঙচুরে।
সম্প্রতি লাস ভেগাসে টেসলার পাঁচটি গাড়িতে রহস্যজনকভাবে আগুন লাগে। তার পরপরই সামাজিক মাধ্যমে কড়া বার্তা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যারা টেসলার গাড়ি নষ্ট করছেন, তাদের ২০ বছরের জেল হতে পারে। এমনকি যারা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন, তারাও রেহাই পাবেন না।”
টেসলা শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় পথপ্রদর্শক নয়, বরং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে এক বৈপ্লবিক নাম। এই সংস্থার প্রধান ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প তাকে আমেরিকার দক্ষতা উন্নয়ন দফতরের শীর্ষে বসান। এরপর থেকেই মাস্ক এবং টেসলাকে ঘিরে যেন শুরু হয় এক অশান্ত অধ্যায়।
একাধিক হামলার পর ইলন মাস্ক নিজের জীবন নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা সুপরিকল্পিত। আমাকে হত্যা করতেই তারা এগোচ্ছে, কারণ আমি তাদের দুর্নীতি ফাঁস করছি।”
মাস্ক আরও দাবি করেন, সরকারি অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে টেসলা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলেই এই আক্রোশ। এমনকি কিছু ফেডারেল কর্মীও টেসলার গ্রাহকদের নিশানা করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি অনলাইন প্রচারণায় টেসলা মালিকদের ঠিকানা ফাঁস করে, তাদের গাড়িতে রঙ স্প্রে করার আহ্বান জানানো হয়। এই উদ্বেগজনক প্রবণতা প্রসঙ্গে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, “এটা কোনো সাধারণ অপরাধ নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদের শামিল।”
তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আরেকটি হামলা হলেই কঠোর মামলা হবে।”
টেসলাকে ঘিরে এভাবে রাজনীতি, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আবহ।