ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল ভূরুঙ্গামারীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর কবর স্থান থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০

মিসরে ভিন্ন আমেজে এবারের রমজান উদযাপন, এবার শুধু উপবাস নয়, সংহতিরও প্রতীক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজার চলমান ইসরাইলি হামলা মিসরের রমজান উদযাপনকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। এবারের রমজান শুধুই আত্মশুদ্ধি আর সংযমের নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় হাঁটলেই বোঝা যায়, মিসরীয়রা তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের দাবি ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করছে।

রমজানে ঐতিহ্যগতভাবে মিসরের রাস্তাঘাটে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখা যায়। এবার সেই আলোয় ফুটে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। লণ্ঠন, ফেয়ারি লাইটের সঙ্গে উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। প্রতিটি গলি যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন ধারণ করছে। শুধু আলোকসজ্জা নয়, মিসরের ব্যবসায়ীরাও ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশে নেমেছেন।

আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত হাক্কানিয়া বাজারের খেজুর বিক্রেতারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। বাজারের বিভিন্ন খেজুরের নামকরণ করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থানের নামে ‘আরব গাজা খেজুর’, ‘মিসরীয় রাফাহ খেজুর’। ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হামদান বললেন, এই নামকরণের উদ্দেশ্য শুধু বাণিজ্য নয়, এটি গাজার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশের মাধ্যম।

ক্রেতারাও এই উদ্যোগে আনন্দিত। ৫১ বছর বয়সী আহমদ সাঈদ খেজুর কিনে জানালেন, এটি তাঁর জন্য শুধু কেনাকাটা নয়, বরং একাত্মতা প্রকাশের প্রতীক। গৃহবধূ সালমা ফুয়াদ বললেন, “ব্যবসার সঙ্গে সংহতি মেশানোয় কোনো ভুল নেই। আমরা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি না, বরং কিছু দেশের পণ্য বর্জন করেও প্রতিবাদ করছি।”

শিশুরাও রমজানের নতুন এই পরিবর্তন নিয়ে কৌতূহলী। রাস্তায় উড়তে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকা দেখে ছোট্ট এক ছেলে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “এটা কোন দেশের পতাকা?” মা উত্তর দিয়েছিলেন, “এটা গাজার পতাকা। সেখানে তোমার মতো শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

মিসরীয়দের কাছে এবারের রমজান শুধুই রোজার মাস নয়, এটি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সংহতির মাস। তাদের বিশ্বাস, এই রমজান ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন আরও জোরালো করবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিসরে ভিন্ন আমেজে এবারের রমজান উদযাপন, এবার শুধু উপবাস নয়, সংহতিরও প্রতীক

আপডেট সময় ১২:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

গাজার চলমান ইসরাইলি হামলা মিসরের রমজান উদযাপনকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। এবারের রমজান শুধুই আত্মশুদ্ধি আর সংযমের নয়, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের প্রতীক হয়ে উঠেছে। আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় হাঁটলেই বোঝা যায়, মিসরীয়রা তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের দাবি ও সংগ্রামকে প্রতিফলিত করছে।

রমজানে ঐতিহ্যগতভাবে মিসরের রাস্তাঘাটে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখা যায়। এবার সেই আলোয় ফুটে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। লণ্ঠন, ফেয়ারি লাইটের সঙ্গে উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। প্রতিটি গলি যেন ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন ধারণ করছে। শুধু আলোকসজ্জা নয়, মিসরের ব্যবসায়ীরাও ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশে নেমেছেন।

আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত হাক্কানিয়া বাজারের খেজুর বিক্রেতারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। বাজারের বিভিন্ন খেজুরের নামকরণ করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন স্থানের নামে ‘আরব গাজা খেজুর’, ‘মিসরীয় রাফাহ খেজুর’। ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হামদান বললেন, এই নামকরণের উদ্দেশ্য শুধু বাণিজ্য নয়, এটি গাজার মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশের মাধ্যম।

ক্রেতারাও এই উদ্যোগে আনন্দিত। ৫১ বছর বয়সী আহমদ সাঈদ খেজুর কিনে জানালেন, এটি তাঁর জন্য শুধু কেনাকাটা নয়, বরং একাত্মতা প্রকাশের প্রতীক। গৃহবধূ সালমা ফুয়াদ বললেন, “ব্যবসার সঙ্গে সংহতি মেশানোয় কোনো ভুল নেই। আমরা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি না, বরং কিছু দেশের পণ্য বর্জন করেও প্রতিবাদ করছি।”

শিশুরাও রমজানের নতুন এই পরিবর্তন নিয়ে কৌতূহলী। রাস্তায় উড়তে থাকা ফিলিস্তিনি পতাকা দেখে ছোট্ট এক ছেলে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “এটা কোন দেশের পতাকা?” মা উত্তর দিয়েছিলেন, “এটা গাজার পতাকা। সেখানে তোমার মতো শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

মিসরীয়দের কাছে এবারের রমজান শুধুই রোজার মাস নয়, এটি প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সংহতির মাস। তাদের বিশ্বাস, এই রমজান ফিলিস্তিনের মুক্তির স্বপ্ন আরও জোরালো করবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করবে।