যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের রোহিঙ্গা ও লেবাননের সহায়তা বন্ধের প্রস্তাব

- আপডেট সময় ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 17
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি গুটিয়ে আনার তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং লেবাননের জন্য মার্কিন সহায়তা পর্যায়ক্রমে বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক পিটার মারক্কো ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইমেইলে এই পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। ওই ইমেইলে তিনি মার্কিন সহায়তা পেয়ে রোহিঙ্গা ও লেবাননের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার প্রকাশ দেখতে চেয়েছিলেন বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মারক্কো ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক ব্যুরোর প্রধান টিম মেইজবার্গারকে একটি ‘অ্যাকশন মেমো’ খসড়া করার নির্দেশ দেন। এই মেমোর উদ্দেশ্য ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর দৃষ্টি আকর্ষণ করা, যেখানে রোহিঙ্গা ও লেবাননকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার ওপর ‘অতিরিক্ত নির্ভরতার’ বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
ইস্যুটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মারক্কোর ইমেইলটি সত্য এবং তিনি রোহিঙ্গা ও লেবাননের জন্য সহায়তা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
মারক্কোর নির্দেশিত মেমোটি পরবর্তীতে রুবিওর কাছে পাঠানো হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাশাপাশি, লেবানন ও বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বর্তমানে কী পরিমাণ মার্কিন সহায়তা যাচ্ছে, তাও স্পষ্ট নয়।
এমন সময় এই ইমেইল পাঠানো হয়েছিল, যখন মারক্কো ও ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) ইউএসএআইডিকে ছোট করে আনার পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল সংস্থাটির বেশিরভাগ কার্যক্রম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা। ইতোমধ্যে তারা হাজারো কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের বরখাস্ত করেছেন এবং শত শত কোটি ডলারের সহায়তা বাতিল করেছেন।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে সহায়তা কর্মসূচিগুলো ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানানো হয়। তবে ২৪ জানুয়ারি রুবিও রোহিঙ্গা শরণার্থী ও লেবাননে খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় দেন।