যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী জেলেনস্কি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান

- আপডেট সময় ১১:১৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
- / 25
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক আলোচনা ও সামরিক অভিযানের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। মস্কো দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে এবং রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্তে সামরিক সাফল্য অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সৌদি আরবে আলোচনার আগে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফলপ্রসূ সংলাপে বসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তির একটি কাঠামো তৈরির চেষ্টা চালাবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের ছোট গ্রাম নোভেন দখল করেছে তাদের বাহিনী। একইসঙ্গে কুরস্কের লেবেদেভকা, মালায়া লোকনিয়া, চেরকাসকোয়ে পোরেচনয়ে ও কোসিৎসা গ্রাম পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে মস্কো। বিশ্লেষকদের মতে, এসব গ্রাম দখলের ফলে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কিয়েভ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে, সামরিক অগ্রগতির পাশাপাশি কূটনৈতিক পর্যায়েও নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিরোধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও স্যাটেলাইট তথ্যের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। এমনকি দেশটির প্রতি আর্থিক সহায়তাও কমিয়েছে।
জেলেনস্কির অভিযোগ, একটি খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তার মতে, ইউক্রেনের জন্য নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকা উচিত, যা যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করতে অনিচ্ছুক। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেনের প্রতি আরও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছেন। তবে মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের ন্যাটো উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আপাতত সমর্থন দিচ্ছে না।
জেলেনস্কি শনিবার নিশ্চিত করেছেন, তিনি সৌদি আরবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিনিধিরা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১০ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে সৌদি আরব সফর করবেন।