সিরিয়ায় সহিংস সংঘর্ষে হাজারেরও বেশি নিহত, শান্তির আহ্বান অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের

- আপডেট সময় ০৮:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৫১৪ বার পড়া হয়েছে
সিরিয়ায় সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ নেই। দেশটির সরকারি বাহিনী ও আসাদপন্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াইয়ে মাত্র দুই দিনেই নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭৪৫ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক। এমন রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য ও শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।
রবিবার (৯ মার্চ) এক আরব সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, “নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের সমর্থক গোষ্ঠী এবং আলাউইত সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ জাতিকে বিভক্ত করছে। আমাদের অবশ্যই ঐক্য বজায় রাখতে হবে, যাতে আমরা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি।”
সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ গত বছরের শেষ দিকে বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতা হারান। এরপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমেদ আল-শারা দেশটির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর থেকেই নতুন সরকারকে আসাদপন্থীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। দামেস্কসহ বিভিন্ন অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।
রাজধানী দামেস্কের মাজ্জাহ এলাকায় এক মসজিদে দেওয়া বক্তৃতায় শারা বলেন, “সিরিয়ায় বর্তমানে যা ঘটছে, তা আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।”
ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ (এসওএইচআর) জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার সিরিয়ার আলাউইত সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে অন্তত ৩০টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৫ সদস্য ও আসাদপন্থী ১৪৮ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সিরিয়ার এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে কেবল সামরিক শক্তি নয়, রাজনৈতিক সমঝোতাও জরুরি। অন্যথায় সংঘাত আরও বিস্তৃত হতে পারে, যার খেসারত দিতে হবে সাধারণ জনগণকে।