ট্রাম্পের প্রথম পার্লামেন্ট ভাষণে প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ যা যা ছিল, আমেরিকা ফাস্ট নীতির জোরালো প্রতিধ্বনি

- আপডেট সময় ০৫:০৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / 23
দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার ছয় সপ্তাহ পর মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘ এই বক্তৃতায় উঠে এসেছে ‘আমেরিকা ফাস্ট’ নীতি, বাণিজ্যনীতি, অভিবাসন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে তার কঠোর অবস্থান।
ট্রাম্প তার বক্তৃতায় স্পষ্ট করেছেন, ক্ষমতায় ফিরে তিনি কী পরিবর্তন এনেছেন এবং কেন এনেছেন। ভাষণের শেষভাগে তিনি বলেন, “আমেরিকার সোনালি দিন কেবল শুরু হয়েছে। আসন্ন বছরগুলোতে এটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।” ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইউক্রেন যুদ্ধে আর অর্থ ব্যয় করা হবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমেরিকা কি আগামী বছরগুলোতেও কয়েক বিলিয়ন ডলার যুদ্ধে ব্যয় করবে?” এরপরই তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে চিঠি লিখে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
চীন, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্য আমদানিতে আরোপিত শুল্কের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “দশকের পর দশক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের শোষণ করেছে। এটি আর চলতে দেওয়া হবে না।” তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এতে মার্কিন কৃষক ও রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
ইলন মাস্ককে পাশে নিয়ে ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সরকারের আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে হাজারো সরকারি কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, বন্ধ হয়েছে কিছু সংস্থার কার্যক্রম। ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “অনির্বাচিত আমলাদের দেশ শাসনের দিন শেষ।”
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমরা শুধুমাত্র আইনি অভিবাসন চাই, অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া হবে না।” এছাড়া, লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও ট্রান্সজেন্ডার উদ্যোগের বিরোধিতা করে ট্রাম্প দাবি করেন, “মানব জাতির মাত্র দুটি লিঙ্গ পুরুষ ও নারী।”
ট্রাম্পের ভাষণের পর ডেমোক্র্যাট নেত্রী এলিসা স্লটকিন তার সমালোচনা করে বলেন, “ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি শুধুমাত্র ধনীদের জন্য, ছোট ব্যবসা ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিতর্ক নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ট্রাম্পের দীর্ঘ ভাষণ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও রিপাবলিকানরা একে ‘ঐতিহাসিক ও দিকনির্দেশনামূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।