ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্ক: ট্রাম্প কি আত্মসমর্পণে বাধ্য করছেন? সিদ্ধান্তে নতুন টানাপড়েন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে বিরোধের পর ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, যা এখন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনকে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি, রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ইউক্রেনের জন্য টেকসই শান্তি অর্জনে তিনি ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

গত তিন বছরে, ইউক্রেন প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যার মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদিত সহায়তা ছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে সেই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামগুলোর চালান স্থগিত করেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যেসব অস্ত্র ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তা ফেরত আনা হচ্ছে।

এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মুখোমুখি বৈঠক ছিল, যেখানে তীব্র বাক্যবিনিময়ের কারণে আলোচনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই সময় দুটি দেশের মধ্যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা থাকলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপরেও, জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রি জাগোরোদনিয়ুক অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার শর্ত মেনে নিতে চাপ সৃষ্টি করছেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। এর পাশাপাশি, ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার পক্ষেও সুবিধাজনক হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্ক: ট্রাম্প কি আত্মসমর্পণে বাধ্য করছেন? সিদ্ধান্তে নতুন টানাপড়েন

আপডেট সময় ১২:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হোয়াইট হাউসে দুই নেতার মধ্যে বিরোধের পর ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, যা এখন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনকে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি, রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ইউক্রেনের জন্য টেকসই শান্তি অর্জনে তিনি ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

গত তিন বছরে, ইউক্রেন প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যার মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদিত সহায়তা ছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে সেই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামগুলোর চালান স্থগিত করেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যেসব অস্ত্র ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তা ফেরত আনা হচ্ছে।

এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মুখোমুখি বৈঠক ছিল, যেখানে তীব্র বাক্যবিনিময়ের কারণে আলোচনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই সময় দুটি দেশের মধ্যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা থাকলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপরেও, জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রি জাগোরোদনিয়ুক অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার শর্ত মেনে নিতে চাপ সৃষ্টি করছেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। এর পাশাপাশি, ইউক্রেনের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান মনে করছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার পক্ষেও সুবিধাজনক হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারে।