ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইঙ্গিত ট্রুডোর, রাশিয়ার তির্যক প্রতিক্রিয়া
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছে কানাডা, এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এমনকি ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
সোমবার (৩ মার্চ) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উদ্যোগে লন্ডনে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনের পর ট্রুডোর এই মন্তব্য আসে। ইউরোপের ১৮টি দেশের নেতারা এই বৈঠকে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং চার দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
বৈঠকে স্টারমার বলেন, ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বজায় রাখা, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত রাখাই মূল লক্ষ্য।
এই প্রেক্ষাপটে, কানাডার সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রুডো বলেন, “যেকোনো কিছুই সম্ভব”। তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৪৪ হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে কানাডা। পাশাপাশি, এখন পর্যন্ত কিয়েভকে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে অটোয়া, যা ইউক্রেনের জন্য বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সহায়তা।
তবে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত রাশিয়ার নজর এড়ায়নি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ব্যঙ্গ করে বলেন, “নিজেদের সীমান্ত রক্ষার জন্য কানাডার পর্যাপ্ত সৈন্য আছে কি না, সেটাই আগে দেখা উচিত।”
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মজা করে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দেন। রুশ মুখপাত্রের মন্তব্য সেই প্রসঙ্গেরই ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।