ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

শান্তি প্রচেষ্টায় তুরস্ক সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নতুন সমাধানের ইঙ্গিত?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আজ ভোরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন। তার এ সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধের নানা মোড় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তুরস্ক বরাবরই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০২২ সালের মার্চে আঙ্কারার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ল্যাভরভের সফর নিয়ে জল্পনা বাড়ার কারণ হলো, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আঙ্কারা সফর করে এসেছেন। ফলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বরাবরই কৌশলগত। সিরিয়া ইস্যু থেকে শুরু করে কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি পর্যন্ত বহু বিষয়ে দু’দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি বারবার পরিবর্তিত হয়েছে।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কেও নানা টানাপোড়েন চলছে। ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও, তুরস্ক বেশ কিছু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের কূটনৈতিক চাল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা বিশ্লেষণ করছেন।

ল্যাভরভের সফরের মূল এজেন্ডা কী হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শস্যচুক্তির ভবিষ্যৎ ও সিরিয়া পরিস্থিতি এই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি তুরস্ক সত্যিই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো কার্যকর কৌশল প্রস্তাব করতে পারে, তাহলে এটি কেবল আঙ্কারার কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে না, বরং যুদ্ধের সমাপ্তির পথেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি প্রচেষ্টায় তুরস্ক সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নতুন সমাধানের ইঙ্গিত?

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আজ ভোরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন। তার এ সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধের নানা মোড় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তুরস্ক বরাবরই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০২২ সালের মার্চে আঙ্কারার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার ল্যাভরভের সফর নিয়ে জল্পনা বাড়ার কারণ হলো, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আঙ্কারা সফর করে এসেছেন। ফলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নতুন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বরাবরই কৌশলগত। সিরিয়া ইস্যু থেকে শুরু করে কৃষ্ণসাগরের শস্যচুক্তি পর্যন্ত বহু বিষয়ে দু’দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি বারবার পরিবর্তিত হয়েছে।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কেও নানা টানাপোড়েন চলছে। ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও, তুরস্ক বেশ কিছু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের কূটনৈতিক চাল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা বিশ্লেষণ করছেন।

ল্যাভরভের সফরের মূল এজেন্ডা কী হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শস্যচুক্তির ভবিষ্যৎ ও সিরিয়া পরিস্থিতি এই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি তুরস্ক সত্যিই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো কার্যকর কৌশল প্রস্তাব করতে পারে, তাহলে এটি কেবল আঙ্কারার কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে না, বরং যুদ্ধের সমাপ্তির পথেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।