০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

দক্ষিণ সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব: মৃত্যু বেড়ে ৮৩, আক্রান্ত ১,৩৫১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

দক্ষিণ সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, যা এখন একটি মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। গত তিন দিনে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১,৩৫১ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানায়।

মন্ত্রণালয় জানায়, হোয়াইট নাইল রাজ্যের কোস্টি শহরে দ্রুত কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে গত তিন দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি। বিশেষত, দূষিত পানির মাধ্যমে কলেরা ছড়াচ্ছে, এবং এটির প্রধান কারণ হচ্ছে কোস্টির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া। হোয়াইট নাইল রাজ্যের উম দাবাকির বিদ্যুৎ কেন্দ্রে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস মিলিশিয়ার (আরএসএফ) হামলার পরই এই পানি কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে স্থানীয়রা অপরিশোধিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে কোস্তির পানি কেন্দ্র পুনঃসক্রিয়করণ, কলেরা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আইভি তরল সরবরাহ এবং আইসোলেশন কেন্দ্রের শয্যার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি।

এদিকে, সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের তথ্যে জানা যায়, হোয়াইট নাইল রাজ্যে গত দুই দিনে কলেরায় আরও ১,১৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৩ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্ট মাসে কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩,৭৩৫ জনে পৌঁছেছে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৩০ জনে। এই সংকট শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধের ফলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব: মৃত্যু বেড়ে ৮৩, আক্রান্ত ১,৩৫১

আপডেট সময় ১২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

দক্ষিণ সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, যা এখন একটি মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। গত তিন দিনে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১,৩৫১ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানায়।

মন্ত্রণালয় জানায়, হোয়াইট নাইল রাজ্যের কোস্টি শহরে দ্রুত কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে গত তিন দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি। বিশেষত, দূষিত পানির মাধ্যমে কলেরা ছড়াচ্ছে, এবং এটির প্রধান কারণ হচ্ছে কোস্টির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া। হোয়াইট নাইল রাজ্যের উম দাবাকির বিদ্যুৎ কেন্দ্রে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস মিলিশিয়ার (আরএসএফ) হামলার পরই এই পানি কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে স্থানীয়রা অপরিশোধিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে কোস্তির পানি কেন্দ্র পুনঃসক্রিয়করণ, কলেরা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আইভি তরল সরবরাহ এবং আইসোলেশন কেন্দ্রের শয্যার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি।

এদিকে, সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের তথ্যে জানা যায়, হোয়াইট নাইল রাজ্যে গত দুই দিনে কলেরায় আরও ১,১৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৩ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্ট মাসে কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩,৭৩৫ জনে পৌঁছেছে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৩০ জনে। এই সংকট শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধের ফলে।