তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যবর্তী তাসমান সাগরে চীন সম্প্রতি একটি লাইভ-ফায়ার সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে। এই মহড়ার কারণে বেসামরিক বিমান চলাচলের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির (PLAN) তিনটি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ এই মহড়ায় অংশ নেয়। মহড়ার সময় বিভিন্ন যুদ্ধ কৌশল ও অস্ত্র পরীক্ষার অনুশীলন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মহড়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মহড়া কেবল সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের অংশ নয়, বরং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিষ্ঠারও একটি কৌশল। বিশেষ করে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছাকাছি এই মহড়া চালানোর কারণে অঞ্চলটির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বলে জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তাসমান সাগরে চীনের এই সামরিক মহড়া শুধু শক্তি প্রদর্শনের জন্য নয়, বরং ভূরাজনৈতিক বার্তা পাঠানোরও একটি কৌশল। এটি সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।