ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয় নেতাদের দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নিশানায় ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি রিয়াদে মার্কিন ও রুশ শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি না থাকার কারণে আলোচনা তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল নেতা কিয়র স্টারমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

২১ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “ম্যাক্রোঁ এবং স্টারমার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কিছুই করেননি।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর, ইউরোপের দেশগুলি অস্ত্র সহায়তা প্রদান করে আসছে, কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

এই সময়ে, ট্রাম্প সৌদি আরবে রিয়াদে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠককে ফলপ্রসূ দাবি করেছেন, যদিও ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোয় এই বৈঠক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবুও, ট্রাম্প ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেও তাদের প্রতি কিছুটা প্রশংসাও জানান। তিনি ম্যাক্রোঁকে ‘বন্ধু’ এবং স্টারমারকে ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করেন।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সাথে খনিজ সম্পদের বিনিময়ে নতুন চুক্তি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যাতে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ট্রাম্প বলেছেন, “ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে পুতিন এবং জেলেনস্কিকে এক হতে হবে।”

এছাড়া, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এবং জার্মানি ও ইউরোপের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপীয় নেতাদের দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নিশানায় ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার

আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি রিয়াদে মার্কিন ও রুশ শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি না থাকার কারণে আলোচনা তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল নেতা কিয়র স্টারমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

২১ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “ম্যাক্রোঁ এবং স্টারমার ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কিছুই করেননি।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর, ইউরোপের দেশগুলি অস্ত্র সহায়তা প্রদান করে আসছে, কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

এই সময়ে, ট্রাম্প সৌদি আরবে রিয়াদে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠককে ফলপ্রসূ দাবি করেছেন, যদিও ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ না জানানোয় এই বৈঠক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবুও, ট্রাম্প ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেও তাদের প্রতি কিছুটা প্রশংসাও জানান। তিনি ম্যাক্রোঁকে ‘বন্ধু’ এবং স্টারমারকে ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করেন।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সাথে খনিজ সম্পদের বিনিময়ে নতুন চুক্তি করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যাতে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ট্রাম্প বলেছেন, “ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে পুতিন এবং জেলেনস্কিকে এক হতে হবে।”

এছাড়া, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এবং জার্মানি ও ইউরোপের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছেন।