ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত? জামায়াত আমীরের হুঁশিয়ারি: আজহারুল ইসলামের মুক্তি না দিলে তিন কোটি মানুষকে কারাগারে নেওয়ার প্রস্তুতি নিন!” মির্জাপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি: গ্রেপ্তার ৩, লুন্ঠিত ফোন-টাকা উদ্ধার ট্রাম্পের মন্তব্য: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ম্যাখোঁ-স্টারমার কোনো পদক্ষেপ নেননি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে প্রবেশের জন্য চুক্তি বাধ্যতামূলক করতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন: ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৫৯৮ জন আটক নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদ চূড়ান্ত, নেতৃত্বে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা

জার্মানিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন রবিবার: ক্ষমতার পালাবদলে নতুন সমীকরণ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

জার্মানিতে ২১তম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রবিবার। প্রায় সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এবার ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯২ লাখ, যার মধ্যে নারী ভোটার ৩ কোটি ৬ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ২ কোটি ৮৬ লাখ। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচনে ৬৩০টি আসনের জন্য ২৯টি রাজনৈতিক দল মোট ৪ হাজার ৫০৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে সরকার গঠনের ঐতিহ্যগত নিয়ম অনুযায়ী, এবারও কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে ক্ষমতায় যেতে হলে জোট গঠনই একমাত্র পথ।

সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (CDU) এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী অভিবাসনবিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (AfD)। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (SPD) এবং পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি।

AfD-এর উত্থান নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। দলটির বিরুদ্ধে জার্মানির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোকে AfD-এর সঙ্গে জোট না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতির কারণে সরকার সমালোচিত হয়েছে, যা CDU-র প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

CDU-এর নেতা ফ্রিডরিখ মের্ৎসকে সম্ভাব্য পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, কর সংস্কার ও নাগরিক নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনে SPD বা গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট বাধতে হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

রবিবারের নির্বাচন জার্মান রাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ভোটের ফল কী হবে এবং জোট সরকার কেমন হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

জার্মানিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন রবিবার: ক্ষমতার পালাবদলে নতুন সমীকরণ

আপডেট সময় ১০:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জার্মানিতে ২১তম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রবিবার। প্রায় সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এবার ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯২ লাখ, যার মধ্যে নারী ভোটার ৩ কোটি ৬ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ২ কোটি ৮৬ লাখ। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচনে ৬৩০টি আসনের জন্য ২৯টি রাজনৈতিক দল মোট ৪ হাজার ৫০৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে সরকার গঠনের ঐতিহ্যগত নিয়ম অনুযায়ী, এবারও কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে ক্ষমতায় যেতে হলে জোট গঠনই একমাত্র পথ।

সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (CDU) এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী অভিবাসনবিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (AfD)। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (SPD) এবং পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি।

AfD-এর উত্থান নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। দলটির বিরুদ্ধে জার্মানির বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোকে AfD-এর সঙ্গে জোট না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতির কারণে সরকার সমালোচিত হয়েছে, যা CDU-র প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

CDU-এর নেতা ফ্রিডরিখ মের্ৎসকে সম্ভাব্য পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, কর সংস্কার ও নাগরিক নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সরকার গঠনে SPD বা গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট বাধতে হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

রবিবারের নির্বাচন জার্মান রাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ভোটের ফল কী হবে এবং জোট সরকার কেমন হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।