০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইসরায়েলের বিলিয়ন ডলারের হীরা ব্যবসার অজানা রহস্যের অধ্যায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 82

ছবি: সংগৃহীত

 

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ হীরা রপ্তানিকারক দেশ ইসরায়েল। অথচ, দেশটিতে কোনো হীরা খনি নেই! তাহলে কীভাবে তারা বিলিয়ন ডলারের এই খাত নিয়ন্ত্রণ করছে?

তেল আবিবের ডায়মন্ড এক্সচেঞ্জ ডিস্ট্রিক্টকে ঘিরে ইসরায়েলের হীরা ব্যবসা গড়ে উঠেছে। যদিও অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ উইলিয়াম গ্রিফিনের মতে, দেশটিতে মূল্যবান রত্নের সম্ভাব্য মজুদ থাকতে পারে, তবে ইসরায়েলি ব্যবসায়ীরা মূলত আফ্রিকা থেকে সস্তায় কাঁচা হীরা সংগ্রহ করে।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৭ সালে ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ড্যান গার্টলার প্রথমবারের মতো ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (DRC)-তে হীরা খনি কেনেন। পরবর্তীতে তিনি দেশটির খনিজ সম্পদ খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লরাঁ কাবিলা গার্টলারের সঙ্গে ২০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু চুক্তির শর্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রহস্যজনকভাবে কাবিলাকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে, ২০০২ সালে নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সঙ্গে গার্টলারের নতুন চুক্তি হয়, যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে সাহায্য করে।

এভাবে, কঙ্গোর রাষ্ট্রীয় খনি থেকে হীরা, তামা ও কোবাল্ট সংগ্রহের একচেটিয়া অধিকার পান গার্টলার। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনৈতিক উপায়ে খনির স্বত্ব দখল করে কঙ্গোকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং শিশুশ্রমের শোষণকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের বিলিয়ন ডলারের হীরা ব্যবসার অজানা রহস্যের অধ্যায়

আপডেট সময় ১১:৩৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ হীরা রপ্তানিকারক দেশ ইসরায়েল। অথচ, দেশটিতে কোনো হীরা খনি নেই! তাহলে কীভাবে তারা বিলিয়ন ডলারের এই খাত নিয়ন্ত্রণ করছে?

তেল আবিবের ডায়মন্ড এক্সচেঞ্জ ডিস্ট্রিক্টকে ঘিরে ইসরায়েলের হীরা ব্যবসা গড়ে উঠেছে। যদিও অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ উইলিয়াম গ্রিফিনের মতে, দেশটিতে মূল্যবান রত্নের সম্ভাব্য মজুদ থাকতে পারে, তবে ইসরায়েলি ব্যবসায়ীরা মূলত আফ্রিকা থেকে সস্তায় কাঁচা হীরা সংগ্রহ করে।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৭ সালে ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ড্যান গার্টলার প্রথমবারের মতো ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (DRC)-তে হীরা খনি কেনেন। পরবর্তীতে তিনি দেশটির খনিজ সম্পদ খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লরাঁ কাবিলা গার্টলারের সঙ্গে ২০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু চুক্তির শর্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রহস্যজনকভাবে কাবিলাকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে, ২০০২ সালে নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সঙ্গে গার্টলারের নতুন চুক্তি হয়, যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে সাহায্য করে।

এভাবে, কঙ্গোর রাষ্ট্রীয় খনি থেকে হীরা, তামা ও কোবাল্ট সংগ্রহের একচেটিয়া অধিকার পান গার্টলার। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনৈতিক উপায়ে খনির স্বত্ব দখল করে কঙ্গোকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং শিশুশ্রমের শোষণকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন।