শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য:
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন। চরম ঠাণ্ডার কারণে ক্যাপিটল রোটুন্ডার-এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে “আমেরিকার স্বর্ণযুগ” শুরুর ঘোষণা দেন এবং আমেরিকাকে আবার বিশ্বে শ্রদ্ধার আসনে বসানোর অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, তার প্রশাসন সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ন্যায়বিচার ব্যবস্থার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনবে।
★জাতীয় সংকট ও প্রশাসনিক উদ্যোগ
ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত নিরাপত্তা:
১. দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
২. “Remain in Mexico” নীতি পুনরায় চালু।
৩. “Catch and Release” পদ্ধতি বন্ধ।
৪. সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং মাদক কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা।
জ্বালানি ও অর্থনীতি:
১. জাতীয় জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
২. “Green New Deal” বাতিল এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবস্থার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া।
৩. তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে আমেরিকাকে পুনরায় “জ্বালানি সমৃদ্ধ” দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।
শিক্ষা ও সামরিক:
১. সরকারি নীতিতে শুধুমাত্র দুইটি লিঙ্গ (পুরুষ ও নারী) স্বীকৃতি দেওয়া।
২. সামরিক বাহিনীর উপর রাজনৈতিক তত্ত্ব চাপানোর নীতি বন্ধ।
৩. করোনাভাইরাস টিকা বিরোধিতার জন্য বরখাস্ত হওয়া সেনাসদস্যদের পূর্ণ সুবিধাসহ পুনর্বহাল।
সরকারি কার্যক্রম ও ন্যায়বিচার:
১. নতুন “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি” প্রতিষ্ঠা।
২. ফেডারেল সরকারে ফ্রি স্পিচ পুনরুদ্ধার।
৩. সমস্ত গোপনীয় ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ।
জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি
ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক নির্বাচনী বিজয়কে “মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন” হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, সব বর্ণ, ধর্ম, এবং সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হবে।