জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো ভেনেজুয়েলায় পার্লামেন্ট

- আপডেট সময় ১০:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / 14
ভেনেজুয়েলার জাতীয় সংসদ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার দেশটির সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে নির্বিচার গ্রেপ্তার, গুম এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব সমালোচনা করায় ফলকার টুর্কের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সম্প্রতি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে তিনি ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার সেই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।
এছাড়া ভেনেজুয়েলার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠানো ভেনেজুয়েলান নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় ফলকার টুর্ক ব্যর্থ হয়েছেন। একইসঙ্গে মার্কিন অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে পড়া শিশুদের ভেনেজুয়েলায় ফিরিয়ে আনারও দাবি জানায় মাদুরো প্রশাসন।
টুর্কের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণার ফলে সরাসরি কোনো আইনি বা কূটনৈতিক প্রভাব পড়ে না। তবে অতীতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মিশন ভেনেজুয়েলা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে, ফলে এবারও একই ধরনের পদক্ষেপের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সা’ব সরকারের সমালোচকদের গ্রেপ্তার ও আটকের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। একইসঙ্গে তিনি গাজায় ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে ফলকার টুর্কের অবস্থানেরও সমালোচনা করে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সম্পর্ক বিগত কয়েক বছর ধরেই টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাদুরো সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে অস্বীকার করে আসছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টুর্কের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স